এবার ব্যালন ডি’অর তাহলে কার?

এটা বিশ্বকাপের বছর নয়, ইউরো বা কোপা আমেরিকারও নয়। যে বছর এ রকম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট থাকে, সে বছরের ব্যালন ডি’অরের জন্য ওই টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স হয়ে ওঠে প্রধান বিবেচ্য। এই বছর যেহেতু সে রকম কিছু নেই, চ্যাম্পিয়নস লিগের পারফরম্যান্সই হতে পারে বড় বিবেচনার বিষয়, সঙ্গে লিগের পারফরম্যান্স।

তো সেই বিবেচনায় কারা এগিয়ে? পিএসজির উসমান দেম্বেলে, জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা, ভিতিনিয়া, ইন্টার মিলানের লাওতারো মার্তিনেজ, ডেঞ্জেল ডামফ্রিস, বার্সেলোনার রাফিনিয়া, পেদ্রি, লামিয়ে ইয়ামাল, রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ—ঘুরেফিরে এই নামগুলোই আসছে আলোচনায়।

সেখান থেকে যদি আরও ছোট একটা তালিকা করা হয়, তাহলে কারা থাকবেন? প্রশ্নটা করা হয়েছিল এবার ব্যালন ডি’অরের অন্যতম দাবিদার বার্সেলোনার উইঙ্গার রাফিনিয়াকে।

তিনি কাদের রেখেছেন জানেন? নিজের দুই বার্সা–সতীর্থ—লামিনে ইয়ামাল ও পেদ্রি, রিয়াল মাদ্রিদের দুই সুপারস্টার—ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে আর লিভারপুলের রাজপুত্র মোহাম্মদ সালাহকে! এরাই রাফিনিয়ার চোখে সেরা পাঁচ। তাঁর কথা, ‘লামিনে, সালাহ, এমবাপ্পে.

..পেদ্রি তো আমার কাছে বিশ্বের সেরা।

লামিনে ইয়ামালকে নিজের তালিকায় রেখেছেন ইয়ামাল

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অদম্য স্পেন বিশ্বকাপের একদম দোরগোড়ায়

মাইকের ওয়ারিয়ারজাবালের জোড়া গোলের রাতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা স্পেন শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে জর্জিয়াকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে। আর এই জয়ে বিশ্বকাপের টিকিট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে স্প্যানিশরা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখনো পর্যন্ত লুইস দে লা ফুয়েন্তের দলের রেকর্ড নিখুঁত। পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয়, ১৯ গোল। বিপরীতে একটিও গোল হজম করেনি।

ইউরোপের চ্যাম্পিয়নরা মঙ্গলবার তুর্কিদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে পারে আগামী বছরের আসরে খেলার যোগ্যতা।

আরো পড়ুন:

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল

আলভারেজের হ্যাটট্রিকে অ্যাটলেটিকোর স্বস্তির জয়

‘গ্রুপ ই’ এর শীর্ষে থাকা স্পেন তিন পয়েন্টে এগিয়ে আছে তুরস্কের চেয়ে। তুরস্ক শনিবার বুলগেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা টিকিয়ে রেখেছে।

তবে তুরস্কের সামনে হিসাবটা প্রায় অসম্ভব। সেভিয়ায় স্পেনকে বিশাল ব্যবধানে হারালেই কেবল তারা সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। গোল ব্যবধানই এখানে মূল নির্ণায়ক। স্পেনের গোল ব্যবধান +১৯। আর তুরস্কের মাত্র +৫।

‘‘প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বলছি- মাঠে আমরা এখনো পা মাটিতেই রাখছি। সবকিছু গাণিতিকভাবে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই মনোভাব ধরে রাখতে হবে।’’ ম্যাচের পর এমনটাই বলেন স্পেন কোচ দে লা ফুয়েন্তে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই নিখুঁত রেকর্ড ছেলেদের নিয়ে গর্ব করার বড় কারণ। এমন মানের, এমন ঐতিহাসিক গুরুত্বের খেলোয়াড়দের কোচ হতে পারা আমার সৌভাগ্য। এখনো সামনে বেশ পথ বাকি।’’

চোটের কারণে লামিনে ইয়ামাল, পেদ্রি আর রদ্রিকে ছাড়াই মাঠে নামে স্পেন। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতি মাঠে কোনোভাবেই অনুভূত হয়নি; জর্জিয়া পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল অসহায়।

রিয়াল সোসিয়েদাদের ফরোয়ার্ড ওয়ারিয়ারজাবাল ছিলেন দারুণ ছন্দে। দুটি গোলের পাশাপাশি করেছিলেন একটি অ্যাসিস্টও। মার্তিন সুবিমেন্দি ও ফেরান তোরেসও নাম লেখান স্কোরশিটে; বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্পেন।

এদিন ১১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোলের খাতা খুলেন ওয়ারিয়ারজাবাল। আর ৬৩ মিনিটে তার অসাধারণ হেডে আসে দলের চতুর্থ গোল। ম্যাচের শেষ দিকে জর্জিয়ার একটি শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দেন মার্কোস ইয়োরেন্তে। তাতে স্পেনের অবিশ্বাস্য ‘ক্লিন শিট’ ধারাটা অক্ষুণ্ণ রেখেই ম্যাচ শেষ করেন তারা।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ