শিশুদের ভালোবাসার রঙে রাঙা মায়ের মুখ
Published: 11th, May 2025 GMT
রং আর তুলি নিয়ে ব্যস্ত শিশুরা। প্রতিযোগিতায় আঁকছে তারা। শিশুদের আঁকায় ফুটে উঠছে তাদের মায়ের মুখ। ভালোবাসার রঙে মাকে রাঙিয়ে তোলে তারা।
মা দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর উত্তরায় সেন্টারপয়েন্ট শপিং মলে বৈচিত্র্যপূর্ণ এক আয়োজনে আঁকছিল শিশুরা। ‘আমার মা আমার রঙে’ শীর্ষক ওই বর্ণিল আয়োজন করে ইউনাইটেড গ্রুপের সেন্টারপয়েন্ট ও প্রথমা প্রকাশন।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ছাড়াও এই আয়োজনে পাপেট শো, প্যারেন্টিং কর্মশালা, কার্টুন আঁকার কর্মশালা, সিসিমপুরের পরিবেশনা, নাটিকা, নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা বর্ণিল আয়োজন। আয়োজনে শিশুদের সংগঠন শিল্প বাংলার পরিবেশনাও ছিল। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে আয়োজন চলে বেলা ৩টা পর্যন্ত।
‘আমাদের ভালোবাসার রঙে রাঙা হয়ে ওঠে আমাদের মায়ের মুখ। আমাদের সারা জীবনের প্রচেষ্টা হোক মায়ের মুখে হাসি ফোটানো’—প্রথমা প্রকাশনের শিশুসাহিত্য সহযোগী সাইদুজ্জামান রওশনের এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। উত্তরাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার স্কুলের শিশুদের পাশাপাশি আজিমপুরের বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায়।
শিশুদের আঁকায় ফুটে ওঠে তাদের মায়ের মুখ। ভালোবাসার রঙে মাকে রাঙিয়ে তোলে তারা। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিন বিভাগে ৩ জন করে মোট ৯ শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন চিত্রশিল্পী মাসুক হেলাল, সামায়েল শহীদ, রজত আল জাবির ও মারুফ মিয়া।
আয়োজনে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার উপস্থাপন করে অপু–দিপুর গল্প। কুঁজো বুড়ির গল্প বায়োস্কোপ শো আকারে উপস্থাপন করে তারা। এ ছাড়া কার্টুন আঁকা কর্মশালা পরিচালনা করেন কার্টুনিস্ট মেহেদী হক।
অনুষ্ঠানে বাবা-মায়েদের নিয়ে প্যারেন্টিং কর্মশালায় কথা বলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ফারজানা রহমান। তিনি বলেন, ‘এখনকার শিশুরা বেশ স্পর্শকাতর। মা–বাবারাও অনেক সচেতন। তারপরও শিশুদের অজান্তে আমরা তাদের মনে কষ্ট দিয়ে ফেলি। এতে দেখা যায়, অনেক সন্তান আমাদের থেকে অনেক দূরে চলে যায়। আমাদের উচিত সন্তানদের কাছাকাছি থাকা।’
জনপ্রিয় শিশুতোষ সিরিজ সিসিমপুর নিয়ে শিশুদের মধ্যে সব সময় ব্যাপক আগ্রহ থাকে। এই আয়োজনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খাবার, শরীরচর্চা ও সর্বোপরি শরীরের যত্ন নিয়ে নাচে–গানে সিসিমপুরের টুকটুকি, শিকু, ইকরি এবং হালুম উপস্থিত শিশুদের সঙ্গে কথা বলে।
রাজধানীর ভাটারা থেকে অনুষ্ঠানে আসা মানহা বিনতে মুরশেদ জানায়, ‘সকালবেলা মায়ের সঙ্গে এসেছি। মাকে নিয়ে ছবি এঁকেছি। অনেক কিছু দেখে খুব ভালো লেগেছে।’
পুরস্কার বিতরণী পর্বে উপস্থিত ছিলেন ইউনিমার্টের সিইও গাজী মাহফুজুর রহমান, ইউনাইটেড রিয়েল এস্টেটের সিইও শেখ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ল ব স র রঙ আম দ র উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। এখন বিজয়ের লক্ষ্য পূরণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রসর হতে হবে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়।
ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ৫৩ বছর ধরে এ দেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে সংগ্রাম করেছেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি বলে জনগণ এসব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত থেকেছেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য যেমন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা; তেমনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক শক্তিগুলোসহ নাগরিক সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা। এই ঐক্যকে সুদৃঢ় করে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা একটা ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণে আছি। স্বাধীনতার পর এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি। তাই অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
আলোচনায় কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।