ভারতই যুদ্ধবিরতির আগ্রহ দেখিয়েছে, দাবি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর
Published: 12th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ দাবি করেছেন যে, তারা ভারতকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানাননি, বরং ভারতই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। খবর বিবিসি
রোববার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআর মুখপাত্র এই দাবি করেন। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি কঠোরভাবে মেনে চলছে।
জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আমরা নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি কঠোরভাবে মেনে চলছি। তবে যদি বিরোধী পক্ষ এটি (যুদ্ধবিরতি) লঙ্ঘন করে, তাহলে আমরাও যথাযথভাবে সেটার জবাব দেবো।’
একজন ভারতীয় পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি সত্য নয় বলে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান আইএসপিআর। ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, ভারতীয় কোনো পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে নেই।
ব্রিফিংকালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ দাবি করেন, সংঘর্ষ চলাকালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ভারতীয় বেশকিছু সামরিক স্থাপনা ও ‘সন্ত্রাসী’ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ধ্বংস করেছে। এছাড়া আকাশ পথের যুদ্ধে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে ছয়-শূন্য ব্যবধানে পাকিস্তান জয়লাভ করেছে বলেও দাবি করেন এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ।
অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তান তার সামরিক শক্তির সামান্য ঝলক দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির আইএসপিআর মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘এটা মনে রাখা উচিত যে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর আধুনিক যুদ্ধক্ষমতা রয়েছে, যার মধ্যে সামান্যই (ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে) ব্যবহার করা হয়েছে। বাকিটা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
তবে ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধ জড়ানোটা ‘নিছক বোকামি হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।