টানা ছয় দিন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের পর আজকের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। বৃষ্টির পর ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে জনজীবনে। তবে তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মিললেও ঢাকাসহ ২১ জেলায় বজ্রপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকা, ভ্রমণ এড়িয়ে চলা ও গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়াসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রহমান জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
 
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, খুলনা বিভাগ বাদ দিয়ে দেশের প্রায় সর্বত্র ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেছে। রাজশাহীতে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে কমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২১ জেলায় বজ্রপাতের আভাস রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরবর্তী ৪ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন জেলায় অস্থায়ীভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি এবং বজ্রপাত হতে পারে। জেলাগুলো হলো– রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, রংপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, রাঙামাটি ও বান্দরবান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স লস য় স

এছাড়াও পড়ুন:

মহাসড়ক ও আশপাশে ২১৭ পশুহাট, আশঙ্কা যানজটের

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কের ওপর ও আশপাশে প্রতি বছর কোরবানির পশুর হাট বসে ২১৭টির মতো। এ কারণে ঈদযাত্রায় যানজটের ভোগান্তি থাকে। এই ভোগান্তি ঠেকাতে এবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সড়কের ওপর বসানো যাবে না হাট। হাটের প্রবেশপথ মহাসড়কের বিপরীত দিকে নির্মাণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোথায় কতটুকু জায়গায় হাট বসানো হবে, তার যথাযথ ম্যাপ ও স্কেচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। ঈদে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে গতকাল দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত সভা শেষে এসব নির্দেশনা দেন সড়ক ও রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। 

সভায় জানানো হয়, আগামী ২১ মে ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। এ বছর ঈদে ১০ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হবে ৪ জুন থেকে। ঈদের অন্তত তিন দিন আগেই বন্ধ হবে সরকারি অফিস-আদালত। দীর্ঘ ছুটির কারণে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রা ছিল স্বস্তির। এবার কোরবানির ঈদ হবে বর্ষার শুরুতে। টানা বৃষ্টি হলে ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। 

সড়ক-মহাসড়কে যানজটপ্রবণ স্পটের সংখ্যা ১৪৯টি। ঈদুল ফিতরে যা ছিল ১৫৫। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪৯, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫৪, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪২ এবং ঢাকা-পাটুয়ারিয়া-আরিচা মহাসড়কে আটটি স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। 

অতিরিক্ত ভাড়া, পশু পরিবহনকারী গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা  ফাওজুল কবির। 
ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজটে পড়তে হয়। এ বিষয়ে কী করা হবে– এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, হানিফ ফ্লাইওভারে যানজট হয়। টোল কীভাবে দ্রুত আদায় করা যাবে, সে উপায় বের করতে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আগের সরকারের সময় ঈদযাত্রায় যেসব অনিয়ম চলত, তা অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছি। 
জানা যায়, গত বছর ঈদের আগে-পরে তিন দিন করে মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখা, কারখানায় ধাপে ধাপে ছুটিসহ ২৭ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোরবানির হাটে পশু নামানো ও বিক্রয় করা পশু গাড়িতে ওঠাতে হাটের মধ্যেই আলাদা জায়গা রাখতে হবে। জায়গা না থাকলে কাজগুলো হাট থেকে দূরে নিয়ে করতে হবে। 

এবার ট্রেনে আসন ৩৩ হাজার
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২১ মে ঈদযাত্রার আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে ৩১ মে তারিখের টিকিট। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২৭ জুন পর্যন্ত বিক্রি হবে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ জুন। এদিন বিক্রি হবে ৯ জুনের   টিকিট। এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে বিক্রি করা হবে। পশ্চিমাঞ্চলের সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় ও পূর্বাঞ্চলের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হবে।  
রেল উপদেষ্টা জানান, ঢাকা থেকে বহির্গামী ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট আসন ৩৩ হাজার ৩১৫টি। ঈদের আগে-পরে ৯ দিন পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ