‘জবাইয়ের হুমকি কোনো সমাজেই গ্রহণযোগ্য নয়’, ফেসবুকে সায়ান
Published: 13th, May 2025 GMT
অন্যায় অনিয়মে বরাবরই সোচ্চার থাকেন সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। গানে-কবিতায় প্রতিবাদী এক কণ্ঠস্বর তিনি। শুধু তা–ই নয়, রাজপথেও থাকেন সামনের সারিতে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে সোচ্চার ছিলেন সায়ান। পরবর্তী সময়েও অন্যায় অবিচারে নিজের প্রতিবাদ থামিয়ে রাখেননি। এবার তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রে ঘৃণা এবং সহিংসতার চর্চা বন্ধে নিজের অবস্থান জানিয়ে কথা বলেছেন। ফেসবুকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পরিসরে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণাত্মক ভাষা, অপমানজনক উপাধি এবং হত্যার হুমকির মতো প্রবণতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই শিল্পী।
সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান তাঁর লেখার সঙ্গে ফেসবুকে এই ফটোকার্ড পোস্ট করেছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়েছে: পেন্টা
মার্কিন বিমান হামলার ফলে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনার পারমাণবিক কর্মসূচি অন্তত ২ বছর পিছিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। খবর সিনহুয়ার।
বুধবার (২ জুলাই) পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা প্রতিবেদন এ তথ্য নিশ্চিত করছে।”
পার্নেল আরো বলেন, “আমরা যেসব গোয়েন্দা তথ্য দেখেছি তাতে আমাদের বিশ্বাস, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।”
আরো পড়ুন:
মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানায়নি পেন্টাগন।
গত ২২ জুন, মার্কিন বাহিনী ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- নাতাঞ্জ, ফোরডো এবং ইসফাহানে হামলা চালায়।
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ফোরডোতে কী ঘটেছে তা কেউ সঠিকভাবে জানে না। আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি তা হলো, স্থাপনাগুলো গুরুতর ও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছে।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে তেহরানের সহযোগিতা স্থগিত করে একটি আইন প্রণয়নের নির্দেশনা জারি করেছেন।
ইরানের সাংবিধানিক পরিষদের মুখপাত্র হাদি তাহান নাজিফের মতে, আইনটিতে ইরানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারমাণবিক স্থাপনা ও বিজ্ঞানীদের নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইন অনুসারে, ভবিষ্যতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আইএইএর যেকোনো পরিদর্শনের জন্য তেহরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন লাগবে।
এদিকে, এর জবাবে আইএইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা এই প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে অবগত। আইএইএ ইরানের কাছ থেকে আরো আনুষ্ঠানিক তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে।”
বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখার সময় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রধান মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক ইরানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি এটিকে ‘স্পষ্টতই উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেন।
ডুজারিক বলেন, “জাতিসংঘ প্রধান আইএইএর সঙ্গে ইরানের সহযোগিতার বিষয়ে বরাবরই স্পষ্ট অবস্থানে ছিলেন। তিনি পারমাণবিক ইস্যুতে আইএইএর সঙ্গে সকল দেশকে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের মতে, আইএইএর সঙ্গে ইরানের সহযোগিতা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ‘অগ্রহণযোগ্য’।
বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রুস বলেন, “আমরা ‘অগ্রহণযোগ্য’ শব্দটি ব্যবহার করব। কারণ ইরান এমন এক সময়ে আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন তাদের কাছে পথ পরিবর্তন করে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
তিনি বলেন, “ইরানের আর দেরি না করে জাতিসংঘের সংস্থা আইএইএর সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা উচিত।”
ঢাকা/ফিরোজ