চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রথমবারের মতো ‘শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার’ খ্যাত বিশ্বের অন্যতম উদ্যোক্তাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘হাল্ট প্রাইজ’ এর জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির ‘পলিজুট টিম’।

শনিবার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন করা হয়েছে।

চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও হাল্ট প্রাইজ চবি অধ্যায়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিতে আন্তঃবিভাগ অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা শুরু

শেষ হলো ব্র্যাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিতর্ক উৎসব

চবি হাল্ট প্রাইজ অধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক দল প্রিলিমিনারি ও ফাইনাল এই দুটি ধাপে প্রতিযোগিতা করেছে। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ছয়টি দল থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির ‘পলিজুট টিম’।

বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন- কাজি আহমেদ, শাহেদ আনওয়ার এবং ফাতেমা নিশাত রিপা। চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে এবং সম্ভাব্যভাবে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পুরস্কার জয়ের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “এই আয়োজন শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি তরুণদের নেতৃত্ব, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং উদ্যোক্তা মনোভাব বিকাশে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।”

হাল্ট প্রাইজের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধান নিয়ে আসার জন্য উদ্ভাবনী উদ্যোগ গড়ে তোলা এবং লাভজনক ব্যবসায়িক মডেলে রূপান্তর ঘটানো। এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি বিজয় অর্জনের মঞ্চ নয়; বরং তরুণদের নেতৃত্ব, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও উদ্যোক্তা মনোভাব বিকাশের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব ল প রস ক র হ ল ট প র ইজ ম হ ম মদ উপ চ র য অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া