তরুণদের সংবিধান ভাবনা এবং রাজনীতির পাঠ
Published: 17th, May 2025 GMT
বাহাত্তরের সংবিধানে নিঃসন্দেহে অনেক প্রগতিশীল বিধানের সন্নিবেশ ঘটেছিল। যে কয়েকটি বিধানে ত্রুটি ছিল, তা সরকারের মৌল বৈশিষ্ট্যের ওপর এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে যে মানুষের ক্ষমতায়নের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি যে ১৭ বার সংশোধনী আনা হয়েছে, বেশির ভাগই ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর সাময়িক ফায়দা হাসিলের জন্য, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নয়। এই সংবিধানকে কার্যকর রেখে জনবান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করা যায় না। জনগণের সামষ্টিক আশা-আকাঙ্ক্ষা রূপায়ণের জন্য সংবিধানের প্রতিটি অক্ষরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের মূল্যবোধের প্রতিফলন হওয়া জরুরি। দেশের সুদূরপ্রসারী ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এমনভাবে সংবিধান পুনর্লিখন হওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সংবিধান ধারণ করতে পারে; প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের চাহিদাটাও সংবিধান মেটাতে পারে।
একাত্তরটা ছিল বৈষম্য এবং জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যায্য এক যুদ্ধ। চব্বিশের লড়াইটাও ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে ইনসাফ কায়েমের। এখানটায় কোনো নীতিগত বিরোধই নেই। বরং একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশের সংগ্রাম সম্পূর্ণ সংগতিপূর্ণ। তাই একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশের সেতুবন্ধ করা জরুরি। একাত্তরে লড়াই করে স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি; চব্বিশের লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীন বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং বিচার ব্যবস্থা পেতে চাই। যারা একাত্তরকে চব্বিশের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চায় অথবা একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশের বিরোধ দেখাতে চায়, তাদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
২০০৭ সালে ১/১১-এর সরকারের সময় সংস্কারের কথা উঠেছিল। যারা সংস্কারের কথা বলেছিলেন, তাদের কারও কারও দুরভিসন্ধি ছিল না, তা বলা যায় না। তবে সেই সময় সংস্কারকে একটি বিতর্কিত কথায় পরিণত করা হয়েছিল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে। সংস্কারকে একপ্রকার গালিতে পর্যবশিত করা হয়েছিল। কী সংস্কার দরকার, সেটির দিকে মনোনিবেশ না করে কে সংস্কারের কথা বলল, কেন বলল, কোন পক্ষের হয়ে বলল– সেগুলো নিয়ে আলাপ তুলে একরকম বয়ান চালু করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এতটাই নগ্ন হয়ে পড়েছে যে এখন সংস্কারের কথা সবাই বলছে। যারা বলছে না, তারা অন্তত অস্বীকার করতে পারছে না। মূলত তরুণ প্রজন্মের মাঝে সংস্কার নিয়ে যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, সেজন্য তা অস্বীকার করা অসম্ভব। তবে এর মাঝেও অনেকে ছলে-বলে সংস্কারের চেয়ে অন্য বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য জনমত গঠন করতে চাইছে, গতানুগতিক ধারায় নির্বাচন করার কথা বলছে। এই চ্যালেঞ্জ দেশের জনগণকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী যে রাজনৈতিক শক্তি দৃশ্যমান বিচার এবং মৌলিক সংস্কারের জন্য কাজ করতে পারবে, রাজনৈতিকভাবে জনতার পক্ষ নিয়ে চ্যালেঞ্জটা নিতে পারবে, সেই রাজনৈতিক শক্তি দীর্ঘ মেয়াদে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অর্থবহভাবে প্রাসঙ্গিক থাকবে। তরুণরা নবদিগন্তের সূচনা করতে চায়।
তরুণ প্রজন্মের চাওয়া হচ্ছে, যে রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বৈরাচার তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে এবং দানবে রূপ নেয়– তা গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আদালতে, এলাকাতে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপ
করে যা বুঝেছি তা হলো, তরুণরা সংবিধান পুনর্লিখনের ব্যাপারে একমত। তারা জান ও জবানের নিরাপত্তা চায়। তরুণরা এমন এক ব্যবস্থা চায়, যার ফলস্বরূপ সরকারকে জনগণ যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
তরুণদের একটা বিরাট অংশ রাজনীতিবিমুখ। তথাকথিত রাজনীতিবিদ এবং বিরাজনীতিকীকরণের হোতারা এর জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে এবং ষড়যন্ত্র এঁটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সংবিধান যতই সুন্দর করে পুনর্লিখন করা হোক না কেন, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যতই সংস্কার আনা হোক না কেন, রাজনৈতিকভাবে সচেতন না থাকলে, সব সময় রাষ্ট্রের ওপর নাগরিকরা তীক্ষ্ণদৃষ্টি না রাখলে আবারও সংকট আসতে বাধ্য। কারণ আইন যতই গণমুখী হোক, যার দ্বারা তা প্রয়োগ হবে তার ওপর কিছু ক্ষমতা ছাড়তেই হয়, তাকে বিশ্বাস করতেই হয়। তাই রাজনৈতিকভাবে সচেতন না হলে দায়িত্বশীলদের দ্বারা ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা বা দায়িত্বশীলরা বিশ্বাস ভাঙছে কিনা– তা দেখভাল করা সম্ভব হয় না। জাতিগতভাবে রাজনৈতিকভাবে সচেতনতার অভাব একটি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক সচেতনতা যেমন জরুরি, ঠিক একইভাবে রাজনীতির ময়দানে সৎ, মেধাবী এবং যোগত্যাসম্পন্ন মানুষগুলোর আসাটাও অনেক জরুরি। রাজনীতির প্রতি ঘৃণা এবং রাজনীতি থেকে দূরে রাখাটা যে কত বড় অপরাজনীতি– তা তরুণ প্রজন্মকে সৎপথ অনুসরণকারী মুরুব্বিদের বোঝাতে হবে।
রাজনীতিকে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। দলকেন্দ্রিক অপরাজনীতির বদলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। সৎ চিন্তাভাবনা ধারণকারী ব্যক্তিদের এলাকাভিত্তিক কাজ করতে হবে। মৌলিক জায়গায় সবাই এক থাকলে সময়ের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হওয়া হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র। সামষ্টিকভাবে রাজনীতির বয়ানটা গণমানুষকেন্দ্রিক করতে হবে।
চব্বিশের স্লোগান মনে পড়ে? ‘বিকল্প কে? তুমিই বিকল্প, আমিই বিকল্প’। এটিকে বাস্তবে রূপায়ণ করতে হবে। রাজনীতির মাঠের জন্য এটি যেমন সত্য, ঠিক একইভাবে সংবিধান পুনর্লিখনের জন্যও এটি সত্য। ড.
অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন নাসের: সভাপতি, বাংলাদেশ ল অ্যালায়েন্স
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমক ল ন প রসঙ গ র জন ত র র জন ত ক প রজন ম ব যবস থ র র জন র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর গুলি চালানোর দৃশ্য দেখেছেন নিরাপত্তা ঠিকাদার
‘মেশিনগান দিয়ে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বেশ কয়েকবার গুলি চালাতে দেখেছি, যারা কোনো হুমকিই ছিল না’, গাজায় ইসরায়েল ও মার্কিন-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সাবেক নিরাপত্তা ঠিকাদার এ কথা বলেছেন। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, একবার একদল নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে, শুধুমাত্র একটু ধীরে চলায় ওয়াচ টাওয়ার থেকে একজন প্রহরী মেশিনগান দিয়ে গুলি চালায়।
এ বিষয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করছে তারা। তারা বিবিসিকে একটি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছে, জিএইচএফ সহায়তা কেন্দ্রের কাছে কোনো বেসামরিক নাগরিক কখনো গুলিবিদ্ধ হননি।
মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ ও মধ্য গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় সীমিতভাবে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে গাজায় নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে জিএইচএফ। এরপর গাজার ওপর ১১ সপ্তাহের সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল, এরপর থেকে ওই এলাকায় আর কোনো খাবার প্রবেশ করেনি। শুরু থেকেই সহায়তা বিতরণের এই ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। কারণ এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে হেঁটে অল্প কয়েকটি জায়গায় যেতে বাধ্য করা হচ্ছিল।
জাতিসংঘ এবং স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন, জিএইচএফ শুরু হওয়ার পর থেকে, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কাছ থেকে খাদ্য সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টার সময় ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যদিও ইসরায়েল মনে করে, তাদের নতুন এই পদক্ষেপের ফলে হামাসের সাহায্য পাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের একটি দলের ওপর প্রহরীদের গুলি চালানো ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই ঠিকাদার বলেন, একজন ঠিকাদার একটি লম্বা জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে বের হয়ে যাওয়ার রাস্তাটার দিকে তাকিয়ে জনতার ওপর বারবার ১৫ থেকে ২০টি করে গুলি চালাতে শুরু করে। একজন ফিলিস্তিনি নিশ্চল হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। এরপর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য আরেকজন ঠিকাদার বলল, ‘ধুর, আমি ভাবলাম তুমি একজনকে মেরেছো’। আর তারপর তারা এটা নিয়ে হেসে উঠল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসির সাথে কথা বলা ওই ঠিকাদার বলেন, জিএইচএফের পরিচালকরা তার প্রতিবেদনটিকে কাকতালীয় ঘটনা বলে উড়িয়ে দেয় এবং ফিলিস্তিনি ব্যক্তিটি ‘হোঁচট খেয়ে পড়েছিলেন’ অথবা ‘ক্লান্ত ও অজ্ঞান’ হয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করে। জিএইচএফ দাবি করেছে, এই অভিযোগকারী ব্যক্তি একজন ‘অসন্তুষ্ট সাবেক ঠিকাদার’ যাকে তারা অসদাচরণের জন্য বরখাস্ত করেছিল।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ঠিকাদার। বিবিসিকে তিনি বেতনের কয়েকটি স্লিপ দেখিয়েছেন যাতে বোঝা যাচ্ছে, ওই পদ ছাড়ার পরও তাকে দুই সপ্তাহ ধরে বেতন দেওয়া হয়েছে। জিএইচএফ পরিচালিত চারটি বিতরণ কেন্দ্রে কাজ করা ওই ব্যক্তি বিবিসিকে জানান, সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে নিয়ম, নিয়ন্ত্রণ খুবই কম যা দায়মুক্তির সুযোগ করে দেয়।
ঠিকাদারদের কোনো স্পষ্ট নিয়ম বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। একজন টিম লিডার তাদের বলেছিলেন, ‘যদি তুমি হুমকি মনে কর, গুলি কর- হত্যা করার জন্য গুলি কর এবং পরে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা কর’। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল, আমরা গাজায় যাচ্ছি, তুমি যা ইচ্ছা কর। এখানে এটিই নিয়ম।
বিবিসিকে ওই ঠিকাদার বলেছিলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সমগ্র এলাকার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং জিএইচএফের দাবি- সেখানে কেউ আহত বা গুলিবিদ্ধ হয়নি। ‘এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা’।
সাবেক ওই ঠিকাদার বলেন, ইসরায়েলের সেনা দলের নেতারা গাজার বাসিন্দাদের ‘জম্বি’' বা ‘মৃত মানুষের দল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘যা এই মানুষগুলোর কোনো মূল্য নেই বলেই ইঙ্গিত দিয়ে।’
ওই ব্যক্তি আরও জানান, জিএইচএফ সাইটগুলোতে ফিলিস্তিনিরা অন্যভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। স্টান গ্রেনেডের ধ্বংসাবশেষের আঘাত কিংবা মানুষের ভিড়কে কাটাতারের মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে উদাহরণ হিসেবে বলেন তিনি। ফিলিস্তিনিদের বেশ কয়েকবার গুরুতর আহত হতে দেখেছেন তিনি। একবার একজন পুরুষের মুখে পিপার স্প্রের পুরো ক্যানই ঢেলে দেওয়া হয়েছিল বা একজন নারী স্টান গ্রেনেডের ধাতব অংশে আঘাত পেলেন, যা ভুলভাবে ওই মানুষগুলোর দিকে ছোঁড়া হয়েছিল।
ওই সাবেক ঠিকাদার বলছিলেন, ‘এই ধাতব টুকরোটি সরাসরি তার মাথায় আঘাত করে এবং সে নড়তে না পেরে মাটিতে পড়ে যায়। আমি জানি না তিনি মারা গেছেন কিনা। আমি কেবল দেখলাম, অজ্ঞান ও সম্পূর্ণরূপে নিস্তেজ ছিলেন।’
এ সপ্তাহের শুরুতে জিএইচএফ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ১৭০টিরও বেশি দাতব্য সংস্থা এবং অন্যান্য এনজিও। অক্সফাম এবং সেভ দ্য চিলড্রেনসহ সংস্থাগুলো বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ‘নিয়মিতভাবে’ সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায়। সাহায্য নিতে আগতদের ওপর নিজের সৈন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা বলছে, জিএইচএফ এর ব্যবস্থাপনা হামাসের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে, সাহায্য প্রার্থীদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করে।
জিএইচএফ বলছে, পাঁচ সপ্তাহে পাঁচ কোটি ২০ লাখেরও বেশি খাবার তারা সরবরাহ করেছে এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো ‘অসহায়ভাবে তাদের সাহায্য লুট হওয়ার সময় পাশে দাঁড়িয়েছে’। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। যেখানে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।
হামাসের এই হামলার জবাবে গাজায় একটি অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তখন থেকে গাজায় কমপক্ষে ৫৭ হাজার ১৩০ জন নিহত হয়েছেন।