সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে বিকল্প সংযোগ প্রকল্প অনুমোদন ভারতের
Published: 18th, May 2025 GMT
বাংলাদেশকে এড়িয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বা সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে সরাসরি সমুদ্রপথে কলকাতাসহ বাকি অংশের বিকল্প সংযোগের চিন্তা করছে ভারত। এ জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রতি ২২ হাজার ৮৬৪ কোটি রুপি ব্যয়ের শিলং-শিলচর মহাসড়ক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবিত এই মহাসড়ক (হাইওয়ে) হলো মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ মাল্টি মডেল পরিবহন প্রকল্পের সম্প্রসারণ।
বর্তমানে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের জন্য একমাত্র প্রবেশপথ হলো শিলিগুড়ি করিডোর, যা ‘চিকেনস নেক’ নামেও পরিচিত। অন্য দুটি প্রবেশপথ হলো– বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অনেক কম সময়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে যাওয়া যায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে প্রবেশাধিকার সীমিত করায় বিকল্প পথের কথা ভাবছে ভারত। এ জন্য মিয়ানমারের যৌথভাবে কালাদান প্রকল্পকে চিহ্নিত করেছে দিল্লির সরকার। শিলং-শিলচর মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই এই কালাদান প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলে ভারতের ভূরাজনৈতিক অবস্থানও অনেক মজবুত হবে।
গত ৩০ এপ্রিল ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শিলং-শিলচর মহাসড়ক প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের ১৪৪.
ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন এই বিকল্প সংযোগ রক্ষাকারী প্রকল্পটিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
গত মার্চ মাসে বেইজিং সফরকালে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ বা উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘সেভেন সিস্টার্স স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে কোনো অ্যাকসেস নেই। আমরাই এই গোটা অঞ্চলে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’ ইউনূসের ওই বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রকল প কল প স ব কল প
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের লিখিত পরীক্ষা ৩১ মে
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ১৪তম ও ১৬তম গ্রেডের ৫টি ক্যাটাগরির ২৯টি পদের লিখিত পরীক্ষা ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত সহকারী, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, টেলিফোন অপারেটর/ অভ্যর্থনাকারী, নমুনা সংগ্রহ সহকারীর ২৯টি পদের লিখিত পরীক্ষা ৩১ মে (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা শহরের ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার সময়সূচি, পরীক্ষাকেন্দ্রের নামসহ বিস্তারিত তথ্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা থাকবে। গতকাল শনিবার থেকে প্রার্থীরা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট (www.bfsa.teletalk.com.bd) থেকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারছেন।
আরও পড়ুনপল্লী বিদ্যুতে বড় নিয়োগ, ২ পদে নেবে ২১৫০ জন১৬ মে ২০২৫