তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক নানান আয়োজনে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে তিন দিনব্যাপী সিএসই কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ১৩ মে ২০২৫ তারিখে উদ্বোধন করা হয় তিন দিনব্যাপী উৎসব ‘AUB CSE Carnival 2025”। অত্যন্ত উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে এই কার্নিভ্যালের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হাসান এম সাদেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর সাদেক। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক শাহজাহান খান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

নুরুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ও ডিপার্টমেন্ট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের হেড সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হাসান এম সাদেক তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যের শুরুতেই এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য বিভাগীয় প্রধান ও ডিন সহযোগী ওবায়দুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে সিএসসি ডিপার্টমেন্ট আরও শক্তিশালী হবে এবং প্রযুক্তিতে দক্ষ ও যোগ্য লোক তৈরি করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।

উপাচার্য শাহজাহান খান বলেন, বর্তমান এই যুগে প্রযুক্তিতে দক্ষতার বিকল্প নেই, আর সিএসই কার্নিভ্যালের মতো অনুষ্ঠান ছাত্রদের প্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়ার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলবে।

তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সিএসই কার্নিভ্যালের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর আন্তবিভাগীয় আইসিটি অলিম্পিয়াড ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় আন্তবিভাগীয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট।

১৫ মে ২০২৫ তারিখে কার্নিভ্যালের তৃতীয় ও সমাপনী দিনটিতে ঢাকার ৪০টি কলেজ থেকে আড়াই শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে আইসিটি অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া এদিনের বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে ছিল সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট শো ও ইনোভেশন আইডিয়া প্রেজেন্টেশন।

তৃতীয় দিন দুপুরের পর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কনফারেন্স রুমে তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী অধিবেশন ও পুরস্কার বিতরণী। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক মুহম্মদ আবুল কাশেম। তিনি তাঁর আলোচনায় ছাত্রছাত্রীকে প্রযুক্তি বিষয়ে সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সমাজের সমস্যা সমাধান করতে উৎসাহিত করেন।

উল্লেখ্য, এ আয়োজনের অ্যাসোসিয়েট পার্টনার ছিল প্রথম আলো।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স এসই ক র ন ভ য ল উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন যারা

যুক্তরাজ্যের বার্ষিক সাহিত্য পুরস্কার ‘উইমেন্স প্রাইজ ফর ফিকশন ২০২৫’ -এর সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৪ মার্চ নারী কথাসাহিত্যিকদের জন্য দেওয়া এই পুরস্কারটির দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার প্রকাশিত হলো এর সংক্ষিপ্ত রূপ। গত ২ এপ্রিল ৩০তম আসরের নির্বাচিত ৬টি উপন্যাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ জুন বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হবে। পুরস্কার হিসেবে চূড়ান্ত বিজয়ী পাবেন ৩০ হাজার পাউন্ড। 
সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় আছে– আরিয়া আবেরের ‘গুড গার্ল’, মিরান্ডা জুলাইয়ের ‘অল ফোরস’, এলিজাবেথ স্ট্রাউটের টেল মি এভরিথিং, ভ্যান ডের উডেনের ‘ডের উডেন: দ্য সেফকিপ ইয়ায়েল’, নুসাইবাহ ইউনিসের ‘ফান্ডামেন্টালি’ এবং সানাম মাহলুদজির দ্য পারসিয়ানস’। যুক্তরাজ্যের সব নারী সাহিত্যিকের জন্য উন্মুক্ত হলেও ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫ সালের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাসের গুরুত্ব অনুযায়ী গ্রন্থগুলো অন্তর্ভুক্ত হয় তালিকায়। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং মানবিক সংযোগের প্রয়োজনীয়তা অন্বেষণের পাশাপাশি আকর্ষণীয় বৈচিত্রময় গল্প স্থান পেয়েছে এতে।
এবার পুরস্কারের বিচারক প্যানেলের প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন লেখক কিট ডি ওয়াল। তার সঙ্গে আছেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক ডায়ানা ইভান্স; লেখক, মানসিক স্বাস্থ্য প্রচারক ব্রায়নি গর্ডন; গ্ল্যামার ইউকে’র প্রধান সম্পাদক ডেবোরা জোসেফ এবং সংগীতশিল্পী এবং সুরকার অ্যামেলিয়া ওয়ার্নার। কিট ডি ওয়াল বলেন, ‘বড় বড় বিষয়গুলোর মোকাবেলায় নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা অবাক করা বর্ণনাকারী। কুৎসিত বিষয়বস্তু, নতুন এবং সাহসী উপায়ে যৌনতা সম্পর্কে লেখা থেকে তারা বিরত নেই। আমি এই ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে প্যানেলের বাকি সবাই আমার চেয়ে বেশি জানে। বিচারকদের মধ্যে কোনও শ্রেণিবিন্যাস ছিল না। আসলে আমারও কিছুই করার ছিল না। সবাই বুদ্ধিমান, শক্তিশালী, সুপণ্ডিত, মজার, স্পষ্টভাষী, সহানুভূতিশীল নারী।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে নারী সাহিত্যিকদের কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে। অনেকের মতে, ১৯৯১ সালের বুকার পুরষ্কার ছিল এই পুরস্কারের অনুপ্রেরণা। তখন ছয়টি সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত বইয়ের মধ্যে কোন নারী লেখক ছিলেন না, যদিও সেই বছর প্রকাশিত প্রায় ৬০ শতাংশ উপন্যাসই ছিল লেখকদের লেখা। তাই অনেক লেখক, প্রকাশক, এজেন্ট, বই বিক্রেতা, গ্রন্থাগারিক, সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একত্রিত হয়েছিলেন। তারা উপস্থাপন করেন যে, গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান  সাহিত্যবিষয়ক পুরস্কারগুলো প্রায়শই নারী সাহিত্যিকদে কৃতিত্বের স্বীকৃতির জন্য দেওয়া হয় না। ফলে এর পাঁচ বছরের মধ্যেই শুধু নারী লেখকদের জন্যই পুরস্কারটি চালু করা হয়। এবার চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষা। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ মে ২০২৫)
  • এক ঝলক (১৭ মে ২০২৫)
  • রবি আজিয়াটার প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ২০ শতাংশ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ মে ২০২৫)
  • আলোকচিত্রে গণমানুষের জীবন
  • এক ঝলক (১৬ মে ২০২৫)
  • বেসরকারি ব্যাংক নেবে অফিসার, স্নাতক পাসে করুন আবেদন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৬ মে ২০২৫)
  • সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন যারা