ফতুল্লায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ বন্ধে অভিযান জরিমানা
Published: 18th, May 2025 GMT
ফতুল্লায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে ভূঁইগড় এলাকায় মোজাদেদি গোস্ত দোকান, আল্লাহ ভরসা গোস্ত ঘর এবং প্রাইমা বেকারী, ভূঁইগড়, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ নামক ৩টি প্রতিষ্ঠান পলিথিন বিক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শনকরায় নয় হাজার টাকা জরিমানা ধার্যপূবক আদায় করা হয়। এবং আট কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৮ মে) জেলা প্রশাসকের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তানিয়া আক্তার এর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টীম কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ রোধকল্পে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ক ধারা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক, জনাব টিটু বড়ুয়া প্রসিকিউশন প্রদান করেন।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের বিক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শনকারী, মজুদ, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ রোধকল্পে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
৯ মাস পর মামলা, আসামিরা ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ
গত বছরের ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনার ৯ মাস পর মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই মামলা করা হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, দুর্নীতি লুটপাটের প্রমাণ নষ্ট করতে শহরের ওসমান পরিবারের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আগুন দেওয়া হয়। মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটির বাদী নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সুপারভাইজার রঞ্জন কুমার রায় সুমন অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, তাঁর ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান শামীম ওসমানের শ্যালক ক্লাবের চার বারের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটুর হাতে। তারা ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণসংক্রান্ত তথ্যাবলি গোপন রাখেন। বহুতল ভবনসহ ক্লাবে ঘটা দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, তহবিল তসরুপ ধামাচাপা দিতে ২ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টায় ক্লাবের গেস্ট হাউসের প্রেসিডেন্ট স্যুটে গোপন বৈঠকে মিলিত হন তারা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে ৫ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় শামীম ওসমানের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের ভিতর ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় ৮-১০টি ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়।
পরবর্তীতে তারা ক্লাবের অফিস কক্ষ, গেস্ট হাউস, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন কক্ষে বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ব্যাংকের হিসাব জমা বই, এফডিআর রশিদ, রেকর্ডপত্র, টিভি, ফ্রিজ, এসি, কম্পিউটারসহ সবকিছু পুড়ে যায়। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় ক্লাবের দশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।
মামলার আসামি তালিকায় নাম রয়েছে লায়ন্স গভর্নর ও ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি শংকর কুমার রায়, শামীম ওসমানের বিয়াই ও ক্লাবের সাবেক জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বিপ্লব সাহা রামু, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম রানা, ক্লাবের সাবেক সভাপতি খবির আহমেদ, সাবেক কার্যকরী সদস্য মঈনুল হাসান বাপ্পী, শামীম ওসমানের বন্ধু লিটন সাহা, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমেদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।