ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারেন, সে জন্য তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছরের ২১ আগস্ট গ্রেপ্তার হন তাজুল ইসলাম।

আরও ১৬ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক রানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আফসারসহ ১৬ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

অপর ১৫ জন হলেন টিএনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহিদা হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাত হোসেন, মেক্সিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান, অলিম্পিক ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক গোলাম মাওলা মজুমদার, পরিচালক রেদওয়ান বিন কিবরিয়া, রিফাদ বিন কিবরিয়া, টিআরজেড গার্মেন্টসের পরিচালক হারুন অর রশিদ ও নাসিমা রশিদ, খান টেক্স ফ্যাশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, পরিচালক লুবনা কবির, পরিচালক সিফাত হোসেন খান, ডুশাটি অপারেটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়ের মিয়া।

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ঋণের নামে ৪৭৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।

অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ঋত্বিক ঘটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ