‘কসম খেয়ে বলছি, আমি কাঁদিনি’, রিশাদের দাবি অস্বীকার কারেনের
Published: 18th, May 2025 GMT
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এবার লাহোর কালান্দার্সে খেলছেন ইংল্যান্ডের পেসার টম কারেন। একই দলে খেলেছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। তবে ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে পিএসএল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় দুজন দেশে ফিরে যান।
রিশাদ পাকিস্তান ছেড়ে দুবাই হয়ে ১০ মে বাংলাদেশে ফিরেছিলেন। দুবাই বিমানবন্দরেই সংবাদমাধ্যমকে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতি কেমন ছিল এবং লাহোর সতীর্থরা কতটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, তা বোঝাতে গিয়ে টম কারেনকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যও করেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে রিশাদ বলেছিলেন, ‘টম কারেন বিমানবন্দরে পৌঁছার পর যখন শুনল বিমান চলাচল বন্ধ, তখন সে বাচ্চাদের মতো কান্না শুরু করেছিল। তাকে দু-তিনজন মিলে সামলাতে হয়েছিল।’
রিশাদের সেই মন্তব্য নিয়ে এত দিন চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন কারেন। লাহোর সতীর্থের দাবিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা এই পেসার।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল থেকে পিএসএল আবার মাঠে গড়িয়েছে। বাংলাদেশ দলের আরব আমিরাত সফরের স্কোয়াডে থাকায় পিএসএলের বাকি অংশে রিশাদকে পাবে না লাহোর। তবে কারেন আবারও পাকিস্তানে গেছেন।
পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের দুই সদস্যের সঙ্গে গতকাল ছবিও তুলেছেন কারেন। সেই ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘খেলা (পিএসএল) আবার শুরু হচ্ছে দেখে আমি আনন্দিত। বিশেষ দুই দেশের মধ্যে যেন শান্তি বিরাজ করে, সে জন্য আমি প্রার্থনা করছি। তবে কসম খেয়ে বলছি, আমি কাঁদিনি। খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।’
অবশ্য রিশাদ তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ১১ মে রাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘দুবাই বিমানবন্দর অতিক্রমের সময় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের দেওয়া একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে আমি যে মন্তব্য করেছিলাম, সেখানে মন্তব্যটিতে পুরো প্রেক্ষাপট উঠে আসেনি এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে আবেগকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হয়েছে। এর ফলে যে ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি টম কারেনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি।’
পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে ফেরা কারেন এবার সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন আরেক বাংলাদেশিকে। সাকিব আল হাসান যে এরই মধ্যে লাহোর কালান্দার্সে যোগ দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।