Prothomalo:
2025-11-02@19:49:17 GMT

ভিনি জুনিয়র: অতি অল্প হইল…

Published: 19th, May 2025 GMT

দরিদ্র এক পরিবারের ছেলে প্রতিভাবান ফুটবলার। বল পায়ে দৌড়াতে দৌড়াতে জিতেছে ইউরোপ। একাধিকবার। হয়েছেন ফিফার ‘বেস্ট’। কিন্তু গায়ের রং কালো বলে শুনতে হয় গালমন্দও। মাঠের মতো গ্যালারি সঙ্গে সেই লড়াইয়েও একবিন্দু ছাড় দেয় না ছেলেটি।

পর্দায় মানুষের শূন্য থেকে সুবিশাল হয়ে ওঠার এমন গল্প সবার বরাবরই পছন্দের। কারণ, মানুষ বাঁচে আশায়, প্রেরণায়। নেটফ্লিক্সের ‘ভিনি জুনিয়র’ অথবা ‘বাইলা ভিনি’ (নাচো ভিনি) তথ্যচিত্রে এই প্রেরণাটুকুই নেই। তা ছাড়া সব আছে। সাও গনসালোয় রাস্তার দেয়ালে বল মেরে ফিরতি বলে ড্রিবলিং শেখা থেকে ফ্লামেঙ্গো, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল জাতীয় দল, চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ…শুধু প্রাণটুকুই যেন নেই!

কিছু ভিডিও, ভিনিসিয়ুসের পরিবার ও বন্ধুবর্গ, রিয়াল সতীর্থ, কোচ—বিভিন্ন সময়ে ভিনিকে নিয়ে তাঁদের কথামালা এবং সিংহভাগ সময়ে বর্ণবাদ ইস্যুই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। আর ভিনির নিজের আত্মকথন তো আছেই। দেখে মনে হয়, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভিডিও নিয়ে তা সম্পাদনার কাজটি ভালোভাবে করতে পারলে বুঝি এমন তথ্যচিত্র বানানো সম্ভব!

খেলাধুলার তারকাদের জীবন নিয়ে বানানো তথ্যচিত্রে খেলোয়াড়ই কেন্দ্রবিন্দু, ভিনির তথ্যচিত্রে তা খুব ভালোভাবে মানা হলেও সবকিছুই যেন ভাসা ভাসা। নেই গভীর কোনো ডুব। এখন পর্যন্ত তাঁর গোটা ক্যারিয়ারই ভাসা ভাসা কথামালা ও ভিডিওতে সাজানো, কিন্তু নেই সাও গনসালোর ‘স্ট্রিট ফুটবল’কে বার্নাব্যু পর্যন্ত নিয়ে আসার শিকড়ের সুলুকসন্ধান।

আরও পড়ুনচাক দে! ইন্ডিয়া: শাহরুখের সেরা সিনেমা, মসলার বাইরে সাহসী বলিউড১২ মে ২০২৫

তবে একেবারে যে কিছু নেই, তা–ও নয়। ক্লাবের সাপ্তাহিক নির্দেশনা মেনে ভিনির বাড়ির শেফ তলেতলে খাবারে কী মেশান, সেটার বিবরণ আছে। ভিনির বিলাসবহুল বাড়ির ভেতরে সুইমিংপুল, সেলুন, ডাইনিং থেকে বাড়ির বাইরের ‘লুক’—এসব ঘুরেফিরে এসেছে অনেকবার।

ভিডিও ক্লিপের ফাঁকে ফাঁকে সবার কথা শুনে নতুন কিছু জানার সুযোগ খুব কম। মেস্তায়ায় ‘বানর, বানর’ বলে গ্যালারির চিৎকার, ব্রিজের মাঝে ভিনির জার্সি পরানো একটি কুশপুত্তলিকার ফাঁসির ছবি ছাড়া বাকি সব শুনে ও দেখে প্রশ্ন জাগতে পারে, নতুন কী জানলাম?

ভিনিকে নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র দেখা যাবে নেটফ্লিক্সে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ