আপনি একটা ‘ইনসিকিউর’ সম্পর্কে সারা জীবন থাকতে পারবেন না। জটিলতা কেবলই বাড়বে। হয় সঙ্গীকে শতভাগ বিশ্বাস করুন, নাহলে ওই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুন।

নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর না হলে আপনি কখনোই একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন না। তাই সবার আগে নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া ঝালিয়ে নিন। আপনি কেমন সঙ্গী চান, সে বিষয়ে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকলে সহজে ভুল মানুষের খপ্পরে পড়বেন না।

সম্পর্কে জড়ানোর আগে নিজের সব ট্রমা থেকে সেরে উঠুন। কেননা, আপনার ভেতরের ট্রমা টক্সিক সঙ্গীকে আকৃষ্ট করে। এ কারণেই অনেকে কেবল ভুল মানুষের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়ান আর ভেতরের ক্ষত ও ভার কেবলই বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে আত্মবিশ্বাসহীনতা।

আপনি কি সঠিক জীবনসঙ্গীর খোঁজে আছেন? বন্ধ করুন। বরং নিজে আরও সঠিক মানুষ হওয়ার ওপর গুরুত্ব দিন। নিজেকে ‘ফিক্স’ করুন। প্রতিনিয়ত নিজের ‘বেটার ভার্সন’ হয়ে উঠুন। আপনি ঠিকই সঠিক মানুষটাকে আকর্ষণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনটক্সিক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কঠিন কেন?২১ নভেম্বর ২০২৪

কেউ যদি আপনাকে সত্যি সত্যি পছন্দ করেন, ভালোবাসেন, আপনি সেটা অনুভব করবেন। আর সে যদি আপনাকে আন্তরিকভাবে ভালো না বাসেন, আপনি তখন তাঁর ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত থাকবেন।

আপনি যখন সবার আগে নিজেকে ভালোবাসবেন, কেবল তখনই আপনি আরেকজনকে সঠিকভাবে ভালোবাসতে পারবেন।

সঙ্গী যদি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, সেই সম্পর্কে আপনি বেড়ে উঠতে পারবেন না। কেউ কাউকে নিয়ন্ত্রণ না করে যখন সমর্থন করেন, তখনই একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

আরও পড়ুনসম্পর্ক যাচাইয়ে ‘অরেঞ্জ পিল থিওরি’ কতটা কার্যকর০৭ মে ২০২৫

সঙ্গী একটা ভুল করলে আপনিও যদি আরেকটা ভুল করে সমতায় আসতে চান, সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ধরুন, সঙ্গী আপনাকে একটা গালি দিল। আপনিও আরেকটা গালি দিলেন। এ রকম ছোট ছোট অভ্যাস থেকে সম্পর্ক গড়াতে পারে অতল গহ্বরে। তাই কেউ একটা ভুল করলেই আপনি সেটার প্রতিশোধ নিতে উঠেপড়ে লাগবেন না। সেই ‘চেইন রিঅ‍্যাকশন’-এ সম্পর্কই শেষ হয়ে যাবে!

ভালো সঙ্গী পেতে নিজে ভালো সঙ্গী হোন।

সম্পর্কে ‘ফিফটি-ফিফটি’ বলে কিছু হয় না, বরং সেটা ১০০-১০০। দুজনকেই প্রতিদিন নিজেদের শতভাগ দিয়েই স্বাস্থ্যকর, সুখী সম্পর্ক গড়তে হয়।

সূত্র: ইয়াহু

আরও পড়ুনকেন তিনি একসঙ্গে বাস করেও ২০ বছর ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেননি১৪ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব স থ যকর প রব ন আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

দুই সপ্তাহে জাপানে ৯০০ ভূমিকম্প

গত দুই সপ্তাহে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের দূরবর্তী তোকারা দ্বীপপুঞ্জে ৯০০টিরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। এতে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত পার করছেন দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা। তোকারা দ্বীপপুঞ্জের ১২টি দ্বীপের মধ্যে সাতটিতে প্রায় ৭০০ মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে দূরবর্তী কয়েকটি দ্বীপে কোনো হাসপাতাল নেই।

বিবিসি জানায়, গত বুধবার ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২১ জুন থেকে দ্বীপপুঞ্জটিতে ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, তোকারা এলাকায় এর আগেও ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এবার কম্পনের মাত্রা অন্য সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিক। 
স্থানীয় গণমাধ্যম এমবিসিকে এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঘুমাতেও ভয় লাগে। মনে হয়, সব সময়ই মাটি কাঁপছে।’

ভূমিকম্পের কারণে দ্বীপপুঞ্জটির কিছু গেস্ট হাউস পর্যটক আসা বন্ধ করেছে। এসব গেস্ট হাউস স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। তোশিমা গ্রামের ওয়েবসাইটে স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার ও প্রশ্ন না করতে অনুরোধ জানানো হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তোশিমা গ্রামের কিছু বাসিন্দা ঘুমের অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। অতিরিক্ত প্রশ্ন করে ও সাক্ষাৎকার নিয়ে তাদের আর বিরক্ত না করতে কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আকুসেকিজিমা দ্বীপের বাসিন্দা চিজুকো আরিকাওয়া (৫৪) দেশটির দৈনিক আসাহি শিম্বুনকে বলেন, ভূমিকম্প হওয়ার আগে মহাসাগর থেকে অদ্ভুত একটি গর্জন শোনা যায়, বিশেষ করে রাতে। এটা ভীতিকর। সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমরা সবাই চাই, এটা বন্ধ হোক।

আকুসেকিজিমার বাসিন্দাদের সমিতির সভাপতি ইসামু সাকামোতো (৬০) বলেন, অনেক ভূমিকম্প হওয়ার পর মাটি না কাঁপলেও খালি মনে হয় কাঁপছে। নিচে থেকে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ভূমিকম্প শুরু হয়। তার পর বাড়িগুলো দুলতে থাকে। এটি বিরক্তিকর।

কয়েক দশক ধরে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছে জাপান। ১০০ বছর পর একবার এমন ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে এ রকম ভূমিকম্পে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ