সম্পর্কে যেসব কথা জানা খুবই জরুরি, কিন্তু কোনো দিন কেউ বলেননি
Published: 19th, May 2025 GMT
আপনি একটা ‘ইনসিকিউর’ সম্পর্কে সারা জীবন থাকতে পারবেন না। জটিলতা কেবলই বাড়বে। হয় সঙ্গীকে শতভাগ বিশ্বাস করুন, নাহলে ওই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুন।
নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর না হলে আপনি কখনোই একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন না। তাই সবার আগে নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া ঝালিয়ে নিন। আপনি কেমন সঙ্গী চান, সে বিষয়ে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকলে সহজে ভুল মানুষের খপ্পরে পড়বেন না।
সম্পর্কে জড়ানোর আগে নিজের সব ট্রমা থেকে সেরে উঠুন। কেননা, আপনার ভেতরের ট্রমা টক্সিক সঙ্গীকে আকৃষ্ট করে। এ কারণেই অনেকে কেবল ভুল মানুষের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়ান আর ভেতরের ক্ষত ও ভার কেবলই বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে আত্মবিশ্বাসহীনতা।
আপনি কি সঠিক জীবনসঙ্গীর খোঁজে আছেন? বন্ধ করুন। বরং নিজে আরও সঠিক মানুষ হওয়ার ওপর গুরুত্ব দিন। নিজেকে ‘ফিক্স’ করুন। প্রতিনিয়ত নিজের ‘বেটার ভার্সন’ হয়ে উঠুন। আপনি ঠিকই সঠিক মানুষটাকে আকর্ষণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনটক্সিক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কঠিন কেন?২১ নভেম্বর ২০২৪কেউ যদি আপনাকে সত্যি সত্যি পছন্দ করেন, ভালোবাসেন, আপনি সেটা অনুভব করবেন। আর সে যদি আপনাকে আন্তরিকভাবে ভালো না বাসেন, আপনি তখন তাঁর ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত থাকবেন।
আপনি যখন সবার আগে নিজেকে ভালোবাসবেন, কেবল তখনই আপনি আরেকজনকে সঠিকভাবে ভালোবাসতে পারবেন।
সঙ্গী যদি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, সেই সম্পর্কে আপনি বেড়ে উঠতে পারবেন না। কেউ কাউকে নিয়ন্ত্রণ না করে যখন সমর্থন করেন, তখনই একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুনসম্পর্ক যাচাইয়ে ‘অরেঞ্জ পিল থিওরি’ কতটা কার্যকর০৭ মে ২০২৫সঙ্গী একটা ভুল করলে আপনিও যদি আরেকটা ভুল করে সমতায় আসতে চান, সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ধরুন, সঙ্গী আপনাকে একটা গালি দিল। আপনিও আরেকটা গালি দিলেন। এ রকম ছোট ছোট অভ্যাস থেকে সম্পর্ক গড়াতে পারে অতল গহ্বরে। তাই কেউ একটা ভুল করলেই আপনি সেটার প্রতিশোধ নিতে উঠেপড়ে লাগবেন না। সেই ‘চেইন রিঅ্যাকশন’-এ সম্পর্কই শেষ হয়ে যাবে!
ভালো সঙ্গী পেতে নিজে ভালো সঙ্গী হোন।
সম্পর্কে ‘ফিফটি-ফিফটি’ বলে কিছু হয় না, বরং সেটা ১০০-১০০। দুজনকেই প্রতিদিন নিজেদের শতভাগ দিয়েই স্বাস্থ্যকর, সুখী সম্পর্ক গড়তে হয়।
সূত্র: ইয়াহু
আরও পড়ুনকেন তিনি একসঙ্গে বাস করেও ২০ বছর ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেননি১৪ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব স থ যকর প রব ন আপন ক
এছাড়াও পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম রাতেই যেন ফুটবলপ্রেমীরা এক অসাধারণ ম্যাচের সাক্ষী হলো। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তুরিনে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জুভেন্টাস ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪-৪ গোলে ড্র করেছে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ডর্টমুন্ডের জয় যখন প্রায় নিশ্চিত, ঠিক তখনই জুভেন্টাসের নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে সবাই হতবাক হয়ে যায়।
ম্যাচের নায়ক ছিলেন জুভেন্টাসের সেই খেলোয়াড় যাকে ক্লাব এই গ্রীষ্মে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল, দুসান ভ্লাহোভিচ। ২৫ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড বদলি হিসেবে নেমে যেন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। দুটি গোল করার পাশাপাশি ইংরেজ ডিফেন্ডার লয়েড কেলির গোলে সহায়তাও তিনিই করেছেন। নির্ধারিত সময়ের পরও যখন ডর্টমুন্ড ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল, সেই অবস্থায় শেষ মুহূর্তে এই অবিশ্বাস্য ড্র নিশ্চিত করেন ভ্লাহোভিচ।
আরো পড়ুন:
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
মেসির গোলে, অ্যাসিস্টে মায়ামির জয়
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে। ৫২তম মিনিটে ডর্টমুন্ডের করিম আদেয়েমি বাম পায়ের শটে বক্সের বাইরে থেকে প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপরই জুভেন্টাসের তরুণ তারকা কেনান ইলদিজ ডান দিক থেকে নেওয়া এক শটে বল জালে জড়িয়ে সমতা ফেরান। কিন্তু জুভেন্টাস সমর্থকদের এই আনন্দ খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। কারণ, মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে আদেয়েমি আবার মাঠে ঝলসে ওঠেন এবং তার পাস থেকে ফেলিক্স এনমেচা বক্সের বাইরে থেকে ডর্টমুন্ডের দ্বিতীয় গোলটি করে বসেন।
ম্যাচের এমন টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ৬৭তম মিনিটে ইলদিজ দুর্দান্ত একটি পাস বাড়িয়ে দেন ভ্লাহোভিচের দিকে। ভ্লাহোভিচ ডান পায়ের শটে সহজেই গোল করে স্কোর ২-২ করেন। এরপর আবার ডর্টমুন্ড এগিয়ে যায়। ৭৪তম মিনিটে ইয়ান কৌটো এবং ৮৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে বেনসেবাইনি গোল করেন। লয়েড কেলির হ্যান্ডবলের কারণে এই পেনাল্টি পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। যখন মনে হচ্ছিল, ডর্টমুন্ড ৪-২ গোলে জয়ী হতে চলেছে, ঠিক তখনই ভ্লাহোভিচ জুভেন্টাসকে বাঁচিয়ে দিলেন।
ম্যাচের ৯০+৩ মিনিটে ডর্টমুন্ডের জয় যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন পিয়ের কালুলুর ক্রস থেকে ভ্লাহোভিচ ৯০+৪ মিনিটে সরাসরি শটে গোল করে ব্যবধান ৪-৩ করেন। এবং নাটকীয়তার শেষ এখানেই নয়! ৯৬তম মিনিটে জুভেন্টাসের কেলি গোল করে বসেন এবং ৪-৪ সমতা ফেরান। শেষ পর্যন্ত এই সমতা নিয়েই শেষ হয় ম্যাচ।
দুই দলের এমন গোল উৎসব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এই নিয়ে সপ্তমবার ঘটল, যেখানে উভয় দলই অন্তত চারটি করে গোল করেছে।
এবারের লিগ-পর্বের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শীর্ষ আটটি দল সরাসরি শেষ ষোলোতে যাবে এবং পরের ১৬টি দল দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে। সেই প্লে-অফ থেকে আরও আটটি দল শেষ ষোলোতে সুযোগ পাবে।
ঢাকা/আমিনুল