শেয়ারহোল্ডাররা পেলেন গ্রামীণফোনের নগদ লভ্যাংশ
Published: 19th, May 2025 GMT
পুঁজিবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিলো কোম্পানিটি।
সোমবার (১৯ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটি। সে হিসেবে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১৭ টাকা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে এ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
এর আগে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানি ১৬০ শতাংশ অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে হিসাবে কোম্পানি সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মোট ৩৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো।
ঢাকা/এনটি/
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য় রহ ল ড র
এছাড়াও পড়ুন:
উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ১৫ জীবন বীমা কোম্পানি
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম বলেছেন, ‘সময় মতো দাবি পরিশোধ না করায় চরম আস্থাহীনতার কারণে বীমা খাত পিছিয়ে পড়ছে। দেশের ৩৬টি জীবন বীমা কোম্পানির মধ্যে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ১৫ বীমা কোম্পানি। আর ১৫টি রয়েছে মধ্যম ঝুঁকিতে। ভালো অবস্থানে রয়েছে ৬টি।’ আজ বুধবার আইডিআরএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বীমা কোম্পানির তালিকা আইডিআরএ চেয়ারম্যান উল্লেখ করেননি। তবে আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ১৫টি কোম্পানিতে এরই মধ্যে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। এসব প্রতিষ্ঠান হলো– সানফ্লাওয়ার লাইফ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন, সানলাইফ, পদ্মা ইসলামী লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ, বেস্ট লাইফ, হোমল্যান্ড লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ, যমুনা লাইফ, ডায়মন্ড লাইফ, স্বদেশ লাইফ, গোল্ডেন লাইফ, বায়রা লাইফ এবং এনআরবি ইসলামিক লাইফ।
জানা গেছে, ২০২৪ সাল শেষে এসব কোম্পানির কাছে গ্রাহকের বীমা দাবি রয়েছে ৪ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলো পরিশোধ করেছে মাত্র ৬৩৫ কোটি টাকা। এসব কোম্পানির অপরিশোধিত দাবির পরিমাণ ৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। এসব জীবন বীমা কোম্পানির ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিন বছরের বিশেষ নিরীক্ষা করাচ্ছে আইডিআরএ। বীমা দাবি পরিশোধ না করাসহ বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আইডিআরএর কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, সময় মতো বীমা দাবি পরিশোধ না করায় এ খাতের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা বেড়েছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা ছাড়া আস্থা বাড়বে না। বর্তমানে জীবন বীমার ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ এবং নন-লাইফ বীমার ক্ষেত্রে প্রায় ৪৭ শতাংশ অপরিশোধিত রয়েছে। এসব দাবি সময় মতো পরিশোধ, মানুষের আস্থা বাড়াতে বিভিন্ন আইন ও বিধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংক রেজল্যুশনের আদলে বীমাকারির রেজল্যুশন অধ্যাদেশ প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। এর আলোকে কেবল বীমা প্রতিষ্ঠান একীভূত হবে তেমন না। অবসায়ন, অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আসলাম আলম বলেন, জিডিপি অনুপাতে ২০১০ সালে বীমার হার ছিলো শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে শুন্য দশমিক ৪১ শতাংশে নেমেছে। চব্বিশে আরও কমেছে। তিনি জানান, আস্থা বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনগত ও ডিজিটালি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আইডিআরএ শুধু ২০২৪ সালে ২৪ হাজার ৮৫২টি অভিযোগ পেয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণে এসব তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না। আইডিআরএতে ১৬০ জন অনুমোদিত জনবলের বিপরীতে মাত্র ১০৭ জন কর্মরত রয়েছে। জনবল বাড়ানোর জোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।