পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রদানের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মতি পায়নি।

সোমবার (১৯ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.

৬০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা।

কোম্পানিটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ আগামী ২০ মে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু লভ্যাংশ প্রদানে এখনো সম্মতি দেয়নি বিএসইসি। ফলে লভ্যাংশ প্রদানের এ রেকর্ড তারিখ প্রযোজ্য হবে না। কমিশন থেকে অনুমতি পাওয়ার পরে আরেকটি রেকর্ড তারিখ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি।

আইন অনুযায়ী, বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করতে পারবে না। তাই বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর তা প্রদানের লক্ষ্যে যে কোনো কোম্পানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতির জন্য আবেদন করে থাকে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি পেলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করতে পারবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য় রহ ল ড র

এছাড়াও পড়ুন:

তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানির মধ্যকার করপোরেট করহারের ব্যবধান ন্যূনতম ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন বাজার অংশীজনেরা। পাশাপাশি আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে এক বৈঠকে এসব প্রস্তাব করা হয়। এর আগে শেয়ারবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও বিএসইসির পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছিল।

শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার অংশীজনদের সঙ্গে আজ শনিবার বিকেলে বৈঠকে বসে বিএসইসি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিএসইর চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান, শাকিল রিজভী ও রিচার্ড ডি রোজারিও, বিএমবিএর সভাপতি মাজেদা খাতুন, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় শেয়ারবাজারের মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাবের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল মওকুফ, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনের ওপর থেকে অগ্রিম কর কমানো, ব্রোকারেজ হাউসের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে প্রাপ্ত আয়ের ব্যবহার, সরকারি কোম্পানি ও বেসরকারি খাতের বহুজাতিক কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তিসহ বাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে যেসব বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে বিএসইসি ব্যবস্থা নেবে বলে সভায় জানানো হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় আইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরে সংস্থাটির আয়ের ৮০ শতাংশই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে। বাকি ২০ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে প্রতি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার বাজার অংশীজনদের নিয়ে সমন্বয় সভা করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা নিয়ে কথা হয়েছে:  বিএসই
  • শেয়ারের দর পতন ঠেকাতে সমাধান খুঁজছে সরকার
  • অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি সাক্ষাৎ, কী ঘটছে বিএসইসির চেয়ারম্যানের ভাগ্যে?
  • সরকার পুঁজিবাজারের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে: ড. আনিসুজ্জামান
  • শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের কফিন মিছিল
  • প্রতি মাসের শেষে অংশীজনের সঙ্গে বসবে বিএসইসি
  • পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অংশীজনদের সঙ্গে বিএসইসি’র মতবিনিময়
  • তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব
  • তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা লাগবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার পরে