সাকিব আল হাসানের পর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলবেন আরেক বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আসরের শেষ ধাপে খেলার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। আজ বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে, ২২ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত পিএসএলে অংশ নিতে মিরাজকে এনওসি দেওয়া হয়েছে। তিনি লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলবেন এলিমিনেটর রাউন্ডে।

জানা গেছে, লাহোরের হয়ে খেলা সিকান্দার রাজার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে মিরাজকে চেয়েছে দলটি। গতকাল পেশাওয়ার জালমিকে ২৬ রানে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে লাহোর। ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করে তারা নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ। ২২ মে এলিমিনেটর ম্যাচে খেলবে লাহোর।

জাতীয় দলের বর্তমান টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে না থাকায় মিরাজের পিএসএল খেলা নিয়ে কোনো বাধা দেয়নি বিসিবি। বরং বোর্ড বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে। চলতি আসরের শুরুতে পিএসএল ড্রাফট থেকে দল পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার—লিটন দাস, নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। তবে ইনজুরির কারণে এক ম্যাচও না খেলেই দেশে ফেরেন লিটন। 

রিশাদ লাহোরের হয়ে পাঁচটি ম্যাচ খেললেও নাহিদ মাঠে নামার সুযোগ পাননি। ৯ মে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে সাময়িকভাবে পিএসএল বন্ধ হয়ে গেলে দেশে ফিরে আসেন তারা। বর্তমানে এই দুই ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে থাকা জাতীয় দলে রয়েছেন। ফলে তাদের আর দেখা যাবে না এবারের আসরে।

এই অনুপস্থিতির সুযোগেই দলে ডাক পান সাকিব আল হাসান। শনিবার রাতে পেশোয়ারের বিপক্ষে লাহোরের হয়ে অভিষেকও হয়ে গেছে তার। এবার সেই একই দলে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসএল প এসএল

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ