কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ দিনে ৪১ শিক্ষার্থী অসুস্থ
Published: 19th, May 2025 GMT
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই দিনে ৪১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সোমবার (১৯ মে) সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৩৫ জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়েন। এর আগে, রবিবার (১৮ মে) ছয়জন শিক্ষার্থী অচেতন হন।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা সুলতানা নিলা বলেন, “ভ্যাপসা গরম অথবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা অচেতন হতে পারে।”
অচেতন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মাইমুনা খাতুন, সুমী, সুমাইয়া, জেরিন ইসলাম, জান্নাতুল, জাকিয়া আক্তার, মরিয়ম খাতুন, লিমা আক্তার, সাদ্দাম হোসেন, আসিফ, ফাতেমা খাতুন, দুলা আক্তার, মারিয়া, আসিফ মাহমুদ, জিয়াসমিন, মারিয়া, মুহাম্মদ আলী, রিফাত হোসেন, শাকিলা, সানজিদা, ফাতেমা খাতুন, আফসানা খাতুন। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধন শনিবার
টাঙ্গাইলে স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ‘জুতাপেটা’
শিক্ষার্থীরা জানায়, গতকাল রবিবার শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসেন। ক্লাস চলাকালীন বিকেল ৩টার দিকে সপ্তম শ্রেণির ছয়জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়েন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ক্লাস চলাকালীন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৩৫ জন শিক্ষার্থী অচেতন হন। স্থানীয়ভাবে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুইটি শ্রেণিকক্ষ থেকেই এক ধরনের গন্ধ পাওয়া গেছে বলেও জানায় তারা।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, সকালে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা জানতে পারেন ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তাও একজন-দুইজন না অনেকে। পরে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করান। পরে তারা তাদের সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যান।
অভিভাবকদের অভিযোগ, গতকাল ছয়জন যখন অচেতন হয়েছে, তখনই যদি শিক্ষকরা ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিতেন তাহলে এ ঘটনা ঘটত না। এরপর স্কুলের ক্লাস রুমগুলো খুবই নোংরা। স্কুলে কোনো নিরাপত্তা নাই। তাদের ধারণা, বখাটে অথবা দুষ্কৃতকারীরা ক্লাস রুমে ঢুকে চেতনানাশক স্প্রে করেছে।
কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন, “গত দুইদিনে ৪১জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। দুইটি শ্রেণি কক্ষে একই ধরনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।” তার ধারণা, শ্রেণি কক্ষে কেউ চেতনানাশক স্প্রে করে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কাজ করছি। এলাকার কোন লোক এ কাজ করতে পারে কিনা খতিয়ে দেখছি। যদি শনাক্ত করতে পারি, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা সুলতানা নিলা বলেন, “ভ্যাপসা গরম অথবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা অচেতন হয়ে থাকতে পারে। তবে পরীক্ষা না করে সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব না। সেখানে আমাদের মেডিকেল টিম গিয়েছে। স্বাস্থ্য পরিক্ষা করলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।”
বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলাম বলেন, “স্কুলের শিক্ষার্থীদের অচেতন হয়ে পড়ার বিষয়টি জেনেছি। প্রধান শিক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।”
তিনি আরো বলেন, “ঘটনাস্থলে মেডিকেল টিম গেছে। পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তারা বিষয়টি দেখবে। পুলিশও গেছে। স্কুলের আঙিনা ও রুম অপরিচ্ছন্ন কি না বা অন্য কোনো সমস্যা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন শ ক ষ র থ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ৪টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। শুধু নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপির জাতীয় স্থানীয় কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আজহরুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ মাসুদুজ্জামান মাসুদ ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে (সদর-বন্দর) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বর্তমান সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনটি এখনো ফাঁকা রেখেছে দলটি। ধারণা করা হচ্ছে এ আসনটিতে গতবারের মতো জোটের প্রার্থী ছাড় পাবেন। তবে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী শাহ্ আলম, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া, সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীও রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও যুব উন্নয়নের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওলিউর রহমান আপেল।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর ও তার ভাতিজা বিএনপির সহঅর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জে) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২৩৮ আসনে আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছি। আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছেন, তারা যে সমস্ত আসনে আগ্রহী সে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী ঘোষণা করবো। এটা আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, এর মধ্যেই পরিবর্তন হতে পারে।
বিশেষ করে, আমাদের শরিক দলগুলোর সাথে আলোচনা এবং স্থায়ী কমিটি যদি মনে করে কোনো আসনে পরিবর্তন আনবে, সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পরিবর্তন আনবেন।”