বন্দরে পুলিশের মেয়ে স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের  হয়েছে। গত রোববার (১৮ মে) রাতে  অপহৃতা স্কুল ছাত্রী মা মিনা আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ১০মে সকাল ১০টায় বন্দর বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক অপহরণ করা হয়।অপহৃত স্কুলছাত্রী ফারহানা আক্তার আগ্নি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার জষ্ঠতলা এলাকার আওলাদ হোসেনের মেয়ে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের রেলী আবাসিক এলাকায় অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে আসছে।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  উল্লেখ করেন, মামলার বাদিনী স্বামী মোঃ আওলাদ হোসেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকুরি করে। সে সুবাদে স্ব পরিবার বন্দর রেলী আবাসিক এলাকায় অস্থায়ী ভাবে বসবাস করি। মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই।

বাদিনী মেয়ে তার দেশের বাড়িতে বেড়াতে গেলে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার জষ্ঠতলা এলাকার নূর ইসলাম মোল্লার ছেলে পাভেল বাদিনী মেয়েকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করত প্রেমের প্রস্তব দিত। বিষয়টি বাদিনী ও তার স্বামী জানতে পেরে বখাটে পাভেলের পিতা নূর ইসলাম মোল্লা ও তার স্ত্রী পারভিন বেগমকে বিষয়টি  জানাইলে বখাটে পাভেল বাদিনী মেয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। 

এর ধারাবাহিকতা গত ১০মে সকাল ১০টায় স্কুল ছাত্রী ফারজানা আক্তার আগ্নি প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে উল্লেখিত এলাকার  নূর ইসলাম মোল্লার ছেলে পাভেল, পাভেলের মা পারভীন বেগম, পিতা নূর ইসলাম মোল্লার সহযোগিতায় বন্ধু আহাদুল সহ রাস্তা থেকে অপহরণ করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।###

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ ন র ইসল ম ম ল ল

এছাড়াও পড়ুন:

গুম খুন অপহরণে জড়িতদের বিচার চাইলো ভুক্তভোগী পরিবার

বিগত সরকারের সময়ে গত ১৬ বছরে গুম, খুন ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। তারা বলেছেন, নিছক একটি নির্বাচনের জন্য আমরা ফ্যাসিবাদীদের বিতাড়ন করিনি। গুম খুন অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন চাই না। আমরা আমাদের স্বজনদের নিখোঁজের পেছনে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি চাই।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। এতে গুম খুন অপহরণের শিকার বেশ কিছু ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ এর প্রধান সমন্বয়ক বেল্লাল হোসেন, সহকারী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, মো. সাগর আহমেদ, মো. বাবুল হোসেন, মো. বাবুল মিয়া, আকলিমা খানম, রেশমা আক্তার, গোলাপ খানম, জসীম উদ্দীন, তমা আক্তার প্রমুখ। 

সমাবেশ থেকে গুম হওয়া পরিবারগুলোকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বা অনুদান প্রদান, প্রতিটি পরিবারকে মাসিক ভাতা ও একজনকে চাকরির সুযোগ, প্রতিটি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রশাসনের সংস্কার, ভিকটিম পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে একজনকে সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি পাস কার্ডের ব্যবস্থা, সকল মামলা প্রত্যাহার, প্রশাসনের হয়রানি থেকে মুক্তি এবং গুম খুন অপহরণে জড়িত র‍্যাবকে অতিদ্রুত বিলুপ্তসহ ১১ দফা দাবি জানানো হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপহরণের একুশ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি ২ বোন, গ্রেপ্তার ১
  • গুম খুন অপহরণে জড়িতদের বিচার চাইলো ভুক্তভোগী পরিবার