প্রবাসমুখী তরুণ প্রজন্ম, লিভিং অ্যাপার্ট টুগেদার এবং মেধা পাচার কেন বাড়ছে
Published: 20th, May 2025 GMT
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে (চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূলধারার গণমাধ্যমে অনেক ধরনের কথাবার্তা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) বিবিএ প্রোগ্রামে আশিক আমার ছাত্র ছিলেন। তাই শিক্ষক হিসেবে আশিকের সাফল্যে আমি আনন্দিত। আইবিএতে আমি আশিককে একজন ভদ্র, মার্জিত ও ভালো ছাত্র হিসেবে চিনতাম। সাম্প্রতিক কালে আশিক অন্তর্বর্তী সরকারে যোগদান করেন। আশিকের দেশে আসা ও সাফল্য খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক।
দুঃখজনক হলেও সত্য, আশিকের মতো বাংলাদেশের মেধাবী তরুণেরা ক্রমান্বয়ে দেশের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এতে যোগ্যতাসম্পন্ন মেধাবী শিক্ষার্থীরা উন্নত শিক্ষা, চাকরি, পেশা ও জীবনযাপনের জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। প্রতিবছর উচ্চশিক্ষার জন্য যে ৭০ থেকে ৯০ হাজার ছাত্রছাত্রী বিদেশে যাচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই দেশে ফিরে আসার কোনো ইচ্ছা নেই। মেধাবীরা কেন দেশ ছাড়ছেন?
মেধা মানে শুধু উচ্চাকাকঙ্ক্ষা নয়; মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজন একটা উপযুক্ত আর্থসামাজিক পরিবেশ, যেখানে সততা, নিষ্ঠা ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন হয়। যেখানে উচিত কথাটি বলা ও সঠিক কাজটি করার জন্য কারও রোষানলের শিকার হতে হয় না; যেখানে ‘প্রভাবশালী’ অথবা ‘বিত্তবান’ অথবা ‘ক্ষমতাবান’ শুভাকাঙ্ক্ষী না থাকলেও শুধু নিজের যোগ্যতায় একজন তরুণ তাঁর পেশায় প্রাপ্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন।
দেশের কলুষিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, আমলাতন্ত্র এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে এই প্রতিকূল পরিবেশে শুধু যোগ্যতা আর সততা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া নতুন প্রজন্মের জন্য আসলেই একটা কঠিন কাজ।
শিক্ষা খাতের কথাই যদি ধরি, তাহলে বলতে হয়, বিশ্বমানের তুলনায় দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বিষয় একেবারেই সময়োপযোগী নয়। একইভাবে যেসব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, সেখানকার জ্ঞান ও প্রশিক্ষণের সঙ্গে বর্তমান বিশ্বের কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তার কোনো সমন্বয় নেই।
বিশ্বের যে ১০টি দেশ সামগ্রিক অর্থনীতির তুলনায় শিক্ষা খাতে সবচেয়ে কম বিনিয়োগ করে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। গত ৫ বছরে জাতীয় বাজেটের মাত্র ১২ শতাংশের মতো শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হয়েছে। একইভাবে সামগ্রিক জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতে একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ কী করতে পারেন, যেখানে চাকরির বাজারে তাঁর যথার্থ মূল্যায়ন হয় না। যেমন একজন প্রকৌশলীর চাকরিজীবন শুরু হয় মাসিক ২৬ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতনের মধ্যে; স্থপতিরা পান এর চেয়েও কম। দেশের বাইরের সুযোগগুলোর তুলনায় এ ধরনের মাসিক ভাতা খুবই কম, যার জন্য মেধাবীরা সংগত কারণেই দেশের বাইরের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, যেখানে তাঁদের যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।
বাংলাদেশে শ্রমবাজারের অংশগ্রহণের হার মাত্র ৬২, যে কারণে অনেক কর্মযোগ্য তরুণ বেকারত্বে ভুগছেন। আমাদের এখানে অনুপযোগী শিক্ষাব্যবস্থায় বাস্তবিক কর্মদক্ষতার চেয়ে পুঁথিগত বিদ্যাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। এর কারণে বাংলাদেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা বর্তমান চাকরির বাজারে চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার তুলনায় নিম্নপর্যায়ের হলেও বেশি বেতনের কারণে বিদেশের চাকরির প্রলোভনে তাঁরা দেশ ছাড়ছেন।
অনেক বছর আগে আমি যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে এসে একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শপ্রতিষ্ঠান এবং আরেকটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করি। দেশের বাইরে আমাদের সুনাম ও সুখ্যাতি থাকলেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে আমাদের মেধা ও সেবা কাজে লাগাতে পারছি না।ব্যবসা–বাণিজ্যের কথা যদি বলি, তাহলে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বিনিয়োগে উচ্চ মুনাফার ‘ব্যবসা’ হলো রাজনীতি, যেখানে দলবাজি, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি করে স্বল্পতম সময়ে শতকোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। যে ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে সততা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার চেয়ে দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতির মূল্যায়ন বেশি, সেখানে একজন আদর্শবান তরুণ কীভাবে সৎ পথে চলেন এবং নীতির সঙ্গে আপস না করে তাঁর কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন, তা বোধগম্য নয়। এতে অযোগ্য ও নৈতিকতাবিবর্জিত মানুষগুলো যেভাবে রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন; একই কারণে অনেক যোগ্য, সৎ ও নীতিমান তরুণ রাজনীতি, ব্যবসা এবং সর্বোপরি নিজ দেশ থেকে নীরবে সরে যাচ্ছেন।
১৯৭১, ১৯৯১ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে জাতি হিসেবে প্রতিবারই আমরা একটার পর একটা সুযোগ হারাচ্ছি, যত দিন না আমরা আমাদের মৌলিক মূল্যবোধের ভিত্তি সংশোধন না করি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার মতো এমন কিছু দেশ বা জাতি দিতে পারছে না—এটাই রূঢ় এবং বাস্তব সত্য। এ ব্যাপারে আমি নিজের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি।
অনেক বছর আগে আমি যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে এসে একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শপ্রতিষ্ঠান এবং আরেকটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করি। দেশের বাইরে আমাদের সুনাম ও সুখ্যাতি থাকলেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে আমাদের মেধা ও সেবা কাজে লাগাতে পারছি না।
আরও পড়ুনপ্রবাসীদের মেধা ও দক্ষতাকে সরকার কীভাবে ব্যবহার করবে৩১ আগস্ট ২০২৪যেখানে জি-৭ এবং জি-২০-এর মতো প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক ফোরামে আমরা নিজ যোগ্যতায় নীতিনির্ধারণী ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছি, সেখানে নিজ দেশে আমরা কখনোই যোগ্যতা ও কাজের সঠিক মূল্যায়ন পাইনি। এর মূল কারণ হলো রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি, দুর্নীতি ও নীতিহীনতার সঙ্গে আপস না করার ব্যাপারে আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়। এতে যতই দিন যাচ্ছে, ততই সংগত কারণে দেশের বাইরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে, যেখানে মেধা, সততা ও যোগ্যতা যথার্থ মূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা অনেক বেশি।
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, রুগ্ণ স্বাস্থ্য খাত, যুগের অনুপযোগী শিক্ষাব্যবস্থার কারণে ছাত্র ও তরুণসমাজ দেশের ব্যাপারে আস্থা ও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। রুল অব ল ইনডেক্সে (আইনের শাসনের সূচক) বিশ্বের ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৭তম। দেশের প্রতি ১ হাজার ৫৮১ জন রোগীর জন্য চিকিৎসক আছেন মাত্র ১ জন, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত অনুপাতের চেয়ে অনেক কম। একটি দেশের মৌলিক তিনটি খাত—স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আইনের শাসনের অবস্থা যদি এ রকম হয়, তাহলে তরুণেরা কিসের আশায় তাঁদের স্বপ্ন, আশা ও ভবিষ্যৎকে দেশের কাছে সমর্পণ করবেন?
বাস্তবিক অর্থে দেশ ও জাতি হিসেবে আমরা কি তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সুবিচার করতে পেরেছি? দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে গত বছরের ৫ আগস্ট যে একটি সাহসী ও সফল গণ–অভ্যুত্থান হলো, সেই আন্দোলনের পর শিক্ষার্থী সম্প্রদায়ের মৌলিক সমস্যা—যেমন মানসম্পন্ন শিক্ষা, কর্মসংস্থান, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন—এই বিষয়গুলোর প্রতি আজ পর্যন্ত কোনো নজর দেওয়া হয়েছে কি?
আন্দোলনের ত্যাগী ও সাহসী ছাত্রনেতাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ থাকতেই পারে, কিন্তু সাধারণ ছাত্রছাত্রী যাঁরা আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি ছিলেন, তাঁদের জন্য আন্দোলন–পরবর্তী যথাযথ দায়িত্ব কি আমরা পালন করতে পেরেছি?
যাঁরা মাতৃভূমি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্য হচ্ছেন তাঁদের পরিবার ও সন্তানসন্তুতির জীবনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য। আজকাল অনেক দম্পতি একধরনের জীবনযাত্রা বেছে নিয়েছেন, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ল্যাট লাইভস’ (লিভিং অ্যাপার্ট টুগেদার)।
এ ধরনের সামাজিক ব্যবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্য থেকে একজন উপার্জন করছেন এবং সন্তানদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য বিদেশে বসবাস করছেন আর অপরজন ব্যবসায়িক বা পারিবারিক কারণে দেশ ও প্রবাসে আসা-যাওয়া করছেন। অনেকের জন্য এটা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং বাস্তবতার নিরিখে জীবনকে মানিয়ে নেওয়া।
যত দিন পর্যন্ত না সমাজের মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন আসবে, মেধা ও যোগ্যতার যথার্থ মূল্যায়ন হবে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের সংস্কার ও বিকাশ ঘটবে, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি নির্মূল হবে, তত দিন পর্যন্ত এই মেধা পাচার বা ‘ব্রেইন ড্রেইন’ বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর তত দিন পর্যন্ত আশিকের মতো উদীয়মান তরুণ প্রতিভাদের দেশকে ধরে রাখতে পারার সম্ভাবনা কম।
পরবর্তী প্রজন্মের মেধাবী তরুণদের ধরে রাখতে হলে দেশকে তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলার কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় এই ‘নিঃশব্দ রক্তক্ষরণ’ চলতেই থাকবে এবং একটা মেধাশূন্য জাতি হওয়ার পিচ্ছিল পথে ক্রমান্বয়ে অন্ধকার অতল গহ্বরের দিকে আমরা নিমজ্জিত হতে থাকব। এই শূন্যতা পূরণ করবে কারা? এ প্রশ্নের সদুত্তর যত তাড়াতাড়ি দেওয়া যায়, ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
অধ্যাপক সৈয়দ মুনীর খসরু আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান দ্য ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গর্ভন্যান্সের (আইপিএজি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রজন ম র য গ যত র ব যবস থ র জন য আম দ র র জন ত অন ক ব হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
‘উপহাসে এখন আর খারাপ লাগে না, কষ্ট হয় না’
ছোট পর্দার এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আরশ খান। আজ তার অভিনয় ক্যারিয়ারের যতটুকু অবস্থান, তা তৈরি করতে কাঠখড় কম পোড়াতে হয়নি। ফলে বাস্তবতা গভীরভাবে উপলদ্ধি করেছেন এই তরুণ অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আরশ খান তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে কিছুটা আক্ষেপ ও শক্ত মনোবলের প্রকাশ ঘটেছে। এ অভিনেতা লেখেন, “উপহাসে আমার এখন আর খারাপ লাগে না, কষ্ট হয় না।”
উদাহরণ হিসেবে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে টেনে আরশ লেখেন, “শাকিব খান নামটা শুনলে একসময় মজা করা আমি, আজ লাইনে দাঁড়িয়ে তার সিনেমার টিকিট কাটি। মনে রাখবেন, আজ যারা আপনার উপর হাসে, তারাই আপনার ভবিষ্যৎ ফ্যান।”
আরো পড়ুন:
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন অভিনেত্রীর স্বামী
দাম্পত্য জীবনের এক বছর, স্বামীকে অর্ষার খোলা চিঠি
আরশ খানের ভক্ত-অনুরাগীরা তার ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করে মন্তব্য করছেন। রিয়া সরকার নামে একজন লেখেন, “আপনি ধীরে ধীরে মানুষের মনে যেভাবে জায়গা করছেন, আপনিও একদিন অনেক বড় অভিনেতা হবেন, প্রার্থনা করি। অনেক ভালো মনের মানুষ আপনি।”
আরাফ নামে একজন লেখেন, “অপেক্ষায় রইব গুরু আরশ। টিকিট কিনে বড় স্কিনে তোমাকে দেখার।” লিটন লেখেন, “ধন্যবাদ ভাই। আপনার প্রতি ভালোবাসা আরো বেরে গেল।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে আরশের কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত