চ্যাটজিপিটিতে থাকা গবেষণার তথ্য পিডিএফ আকারে সংরক্ষণ করা যাবে
Published: 21st, May 2025 GMT
জটিল কোনো বিষয় ধাপে ধাপে পর্যালোচনা করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গবেষণা ফলাফল তৈরি করতে পারায় চ্যাটজিপিটির ‘ডিপ রিসার্চ’ সুবিধা এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবার ডিপ রিসার্চে নতুন অপশন যুক্ত করতে যাচ্ছে ওপেনএআই। ‘ডাউনলোড অ্যাজ পিডিএফ’ নামের অপশনটি চালু হলে ডিপ রিসার্চের তৈরি গবেষণা ফলাফল অনলাইন থেকে সরাসরি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করা যাবে।
ডিপ রিসার্চ সুবিধা মূলত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। প্রম্পট বা নির্দেশ দেওয়া হলে এটি বিস্তৃত প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য শত শত ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট বিষয়ে পরিপূর্ণ প্রতিবেদন তৈরি করে দেয়। বর্তমানে ডিপ রিসার্চের তৈরি করা প্রতিবেদনের তথ্য কপি করে সংগ্রহ করার সুযোগ মিলে থাকে। কিন্তু এতে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাদ পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিবেদনের ফরম্যাট পরিবর্তন হয়ে যায়। এই সীমাবদ্ধতা দূর করতেই ডাউনলোড অ্যাজ পিডিএফ অপশন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ওপেনএআই।
বর্তমানে চ্যাটজিপিটির ওয়েব সংস্করণে পরীক্ষামূলকভাবে পিডিএফ ডাউনলোডের সুবিধা ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে এটি কবে নাগাদ সব ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ডিপ রিসার্চ রিপোর্টের নিচে থাকা কপি বাটনের পাশে নতুন এই পিডিএফ ডাউনলোড অপশন যুক্ত করা হবে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাটজিপিটিতে যুক্ত হচ্ছে স্টাডি টুগেদার, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
চ্যাটজিপিটিতে ‘স্টাডি টুগেদার’ নামে নতুন সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে ওপেনএআই। নতুন এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় শেখার সময় শিক্ষকদের মতো চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করতে পারবে। চ্যাটজিপিটি প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিষয় অনুযায়ী সমস্যা বিশ্লেষণে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের ওপর সুবিধাটির কার্যকারিতা পরখ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওপেনএআই।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যেসব ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে স্টাডি টুগেদার সুবিধা চালু হয়েছে, তারা একে ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ টিউটর’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। তাঁদের মতে, স্টাডি টুগেদার সুবিধা ব্যবহারকারীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গাণিতিক বা জটিল সমস্যা বিশ্লেষণ করে। ফলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি উত্তর না পেয়ে নিজেরাই চিন্তা করে সমাধানে পৌঁছাতে পারে। সুবিধাটিতে প্রাচীন গ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রচলিত ‘সক্রেটিস পদ্ধতি’র ছাপ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করে ভাবতে শেখান এবং নিজেদের যুক্তির মাধ্যমে উত্তর খুঁজে বের করতে উৎসাহ দেন।
চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন জেনারেটিভ এআই টুল ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ এগুলো ব্যবহার করছেন হোমওয়ার্ক বা প্রজেক্টের সহায়তা পেতে, কেউ আবার এসব টুলের অপব্যবহার করার পথ বেছে নিচ্ছেন। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ওপেনএআইয়ের নতুন সুবিধাটি শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানোর একটি সহায়ক মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে চিন্তার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে উৎসাহ দেওয়াই স্টাডি টুগেদার সুবিধার মূল উদ্দেশ্য। তাই প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, চ্যাটজিপিটিকে শুধু উত্তর দেওয়ার চ্যাটবট না বানিয়ে ডিজিটাল শিক্ষকের ভূমিকায়ও প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ওপেনএআই।
সূত্র: ম্যাশেবল