পেন্টাগনে সাংবাদিকদের প্রবেশ সীমিত করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
Published: 24th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) শুক্রবার সাংবাদিকদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এতে ভবনের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় আনুষ্ঠানিক অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ ও তথ্য সংগ্রহের সুযোগ অনেকটাই সীমিত হয়ে গেল।
পেন্টাগনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সাংবাদিকরা এখন শুধুমাত্র ভবনের নির্দিষ্ট কিছু করিডরে ঘোরাফেরা করতে পারবেন, যা মূলত প্রবেশদ্বার ও খাবার কোর্টের আশপাশে সীমাবদ্ধ। প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ও জয়েন্ট স্টাফের অফিস স্পেসগুলোতে প্রবেশ করতে হলে এখন থেকে পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অনুমতি ও দাপ্তরিক সহচর থাকা বাধ্যতামূলক। সাংবাদিকদের পেন্টাগন অ্যাথলেটিক সেন্টারে (ভবনের জিম) প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে হেগসেথ লিখেছেন, ‘যদিও প্রতিরক্ষা বিভাগ স্বচ্ছতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবুও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীল ও শ্রেণিবদ্ধ তথ্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব- যেগুলোর অননুমোদিত প্রকাশ মার্কিন সেনাসদস্যদের জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে। সরাসরি সাক্ষাতে অনিচ্ছাকৃত বা অননুমোদিত তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি কমাতেই এই নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
প্রেসের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে হেগসেথের অধীনে পেন্টাগন একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই এমন আটটি সংবাদমাধ্যমকে তাদের নির্ধারিত কাজের স্থান থেকে উচ্ছেদ করা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনবিসি নিউজ, নিউইয়র্ক টাইমস, এনপিআর ও পলিটিকোকে তাদের ডেস্ক ছেড়ে দিতে বলা হয়। সেগুলোতে জায়গা করে দেওয়া হয় ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ওয়ান আমেরিকা নিউজ নেটওয়ার্ক, নিউইয়র্ক পোস্ট, ব্রেইটবার্ট নিউজ এবং হাফপোস্টকে।
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে পেন্টাগন আরও চারটি সংবাদমাধ্যম- সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য হিল ও ওয়ার জোন’কেও তাদের ডেস্ক ছাড়তে বলে। তাদের জায়গায় স্থান পায় নিউজম্যাক্স, ওয়াশিংটন এক্সামিনার, ডেইলি কলার ও দ্য ফ্রি প্রেস। পেন্টাগন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।
এর কয়েক সপ্তাহ পর, ২১ ফেব্রুয়ারি, পেন্টাগন ঘোষণা দেয়- কোনো প্রেস ব্রিফিং না থাকলে সাংবাদিকরা আর প্রেস ব্রিফিং রুমে প্রবেশ করতে পারবেন না। সাংবাদিকদের জন্য এ কক্ষটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে কাজ করার জন্য ওয়াইফাই সুবিধা ছিল।
সাংবাদিকরা সাধারণত পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের মতো ভবনে কাজের সুবিধার জন্য জায়গা রাখেন, যাতে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেন। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, পেন্টাগনের রিপোর্টারদের এখন একটি নতুন জাতীয় নিরাপত্তা ব্রিফিং ফর্ম পূরণ করতে হবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাংবাদিকদের নতুন ধরনের পরিচয়পত্রও ইস্যু করা হবে, যাতে ‘প্রেস’ চিহ্ন আরও স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র জন য নত ন ন প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে এবার নিউইয়র্কে কর্মসূচি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার ও যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করার দাবিতে সিলেটে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এক সপ্তাহ ধরে একের পর এক কর্মসূচি চলছেই। একই দাবিতে এবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিলেটের লোকজন প্রতিবাদী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিলেটের লোকজনের উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস ডাইভার্সিটি প্লাজা এলাকায় প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। ‘বিরক্ত সিলেটবাসী’ ব্যানারে বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার রাত একটার (যুক্তরাষ্ট্রের সময় বেলা তিনটা) দিকে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচির আয়োজকদের একজন হচ্ছেন নিউইয়র্কপ্রবাসী মাহবুবুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্রমাগত বঞ্চনায় সিলেটবাসীর হতাশা ও বিরক্তি চরমে পৌঁছেছে। সিলেটের সাধারণ মানুষ ন্যায্য দাবি নিয়ে এখন রাজপথে আছে। এ অবস্থায় আমরা প্রবাসীরাও নীরব থাকতে পারি না। তাই প্রতিবাদী কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।’
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের এবং ঢাকা-চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ উন্নত হয়েছে। কিন্তু ঢাকা-সিলেট সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়েছে। অথচ দেখার কেউ নেই। এ সুযোগে সিন্ডিকেট করে বিমানভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। প্রবাসীরা দেশে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এসব দুর্ভোগের প্রতিকার চাইবেন প্রবাসী সিলেটিরা।’
এদিকে ‘যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেটের প্রবাসীবৃন্দ’ ব্যানারে লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে সেখানকার সময়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। সিলেটের উন্নয়নে সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন প্রবাসী সিলেটিরা।
ঢাকায় হবে মানববন্ধন
সিলেট রুটে দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালুসহ রেলপথ সংস্কার এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। ‘ঢাকাস্থ বৃহত্তর সিলেটবাসী’ ব্যানারে আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ কর্মসূচি হবে।