২ / ৯হকার্স মার্কেটের সামনের ফুটপাতেও উঠে যায় পানি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী বললেন, ‘আমি ৩৫ বছর ধরে বিএনপি করি’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত কুমিল্লা জেলা সমন্বয় কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা ও বিতর্ক। কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম জুয়েলকে। তিনি তাকে দায়িত্ব দেওয়াকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে এনসিপির ফেসবুক পেজে কুমিল্লা জেলা কমিটির ৩১ সদস্যের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে রাতেই নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে জুয়েল জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং এটি নিছক ‘গুজব’।
এনসিপি নেতারা জানান, জুয়েলের সঙ্গে তাদের কয়েকবার কথা হয়েছে। তার সম্মতিতেই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি
ইয়াসিনকে হত্যা করেছে আ.লীগের দোসররা: বিএনপি
জুয়েল বলেন, “আমি ৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করছি। কোন দুঃখে বিএনপি ছেড়ে এনসিপিতে যাব? এটা আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার অপচেষ্টা। তরুণদের সেই দলে আমার যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
এনসিপি ঘোষিত কমিটিতে জুয়েলকে প্রধান সমন্বয়কারী, পাঁচজনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বাকি ২৫ জনকে সদস্য করা হয়। কমিটির অনুমোদন দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
জুয়েল বর্তমানে একটি বীমা কোম্পানিতে কর্মরত। ছাত্রজীবনে তিনি লাকসাম নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। এরপর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কৃষকদল, যুবদল এবং বিএনপির বিভিন্ন পদে ছিলেন।
এ বিষয়ে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফসা জাহান বলেন, “জুয়েল সাহেবের সঙ্গে কয়েকবার কথা হয়েছে। তার সম্মতিতেই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতেও তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অসুস্থতার কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানান। পরে আমরা কমিটির তালিকা ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেই।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ