আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোন কিংবা জনপ্রিয় হলিউড তারকা জনি ডেপ, তাঁরা ধূমপান ছাড়া নিয়ে অনেক মন্তব্য করেছেন। সেসব কথা নিয়ে নেট দুনিয়ায় হয়েছে বিস্তর আলোচনা। জনি ডেপ আড়াই বছর ধূমপানমুক্ত থাকার পর একটি সিনেমায় চেইন স্মোকারের অভিনয় করেন। পরে তিনি ধূমপানমুক্ত থাকার প্রতিজ্ঞা ভেঙে আবার সে অভ্যাসে ফিরে যান। এদিকে বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে থাকতে লুকিয়ে সিগারেট খেতেন, এ কথা স্বীকার করেছেন তাঁর স্মৃতিকথায়। তিনি শেষ পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী, সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার ভয়ে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন।

আমাদের দেশের নন্দিত অভিনেতা আবুল হায়াতও একসময় ধূমপানে আসক্ত ছিলেন। তিনি বুয়েটে (তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে) পড়ার সময়ে ধূমপান শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘রবি পথ’–এ লিখেছেন, ‘আমি বুয়েটের ফার্স্ট ইয়ারে হলের পানবিড়ির দোকানে বাকি–খাতা খুলে ফেললাম। দিনে চারবেলা চারটে ক্যাপস্টান সিগারেটের দাম খাতায় উঠতে লাগলো নিয়মিত। পাশ করে বেরুলাম পাক্কা সিগারেটখোর হিসেবে।’

আবুল হায়াত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিকিমে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে আটকা ১৩০০ পর্যটক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজ্যটিতে প্রায় ১৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।

রোববার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাচেন ও লাচুং উপত্যকায় আটকা পড়েছেন অন্তত ১২৭৬ জন দেশি পর্যটক ও দুইজন বিদেশি নাগরিক। এই এলাকাগুলো মাঙ্গান জেলার অন্তর্গত এবং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

মূলত গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সিকিমের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং নতুন করে ধস নামায় রোববার সেখানে নির্ধারিত উদ্ধার অভিযানও চালানো যায়নি।

এর আগে গত ২৯ মে মুনশিথাং এলাকায় একটি গাড়ি তিস্তা নদীতে পড়ে গেলে নিখোঁজ হন আটজন পর্যটক। এখনও পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি।

এছাড়া সিকিমের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার পথে। গত শুক্রবার রাতে ডজংগুর শিপগিয়ের এলাকায় নতুন করে ধস নামে, ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

মাঙ্গান জেলার জেলা পঞ্চায়েতের উপাধ্যক্ষ সোনাম কিপা ভুটিয়া বলেন, “উত্তর সিকিমের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পাহাড়ি উঁচু অঞ্চলে এখনও ৭০০ থেকে ৮০০ জন পর্যটক আটকা পড়ে থাকতে পারেন। ফিদাং ব্রিজই ছিল আমাদের ভরসা, সেটাও এখন ঝুঁকিতে।”

মাঙ্গান জেলার সিনিয়র পুলিশ অফিসার সোনাম ডেচু ভুটিয়া বলেন, “রাস্তাঘাট কেটে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল। এলাকাটি এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।”

সম্পর্কিত নিবন্ধ