Samakal:
2025-06-02@08:03:11 GMT

আবার কুমার নদে বালু উত্তোলন

Published: 31st, May 2025 GMT

আবার কুমার নদে বালু উত্তোলন

ফরিদপুরের সালথায় কুমার নদে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে আবারও বালু তোলা হচ্ছে। এতে কোটি টাকার সেতু ঝুঁকিতে পড়েছে। নদের পাড় ভেঙে পড়ার শঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া মিয়াপাড়া এলাকায় কুমার নদের ওপর নতুন সেতুর নিচ থেকে এই বালু তোলা হচ্ছে। নিজ নির্বাচনী এলাকা সালথায় কুমার নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। গত ২৬ এপ্রিল উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড়দিয়া বাজারে আয়োজিত সমাবেশে তাঁর দেওয়া এ হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে ফের কুমার নদ থেকে বালু তুলছে একটি প্রভাবশালী মহল। 
গতকাল শনিবার দুপুরে যদুনন্দী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, খারদিয়া নতুন সেতুসংলগ্ন কুমার নদের দক্ষিণ তীরে নাছির হোসেন নামে ড্রেজার ব্যবসায়ী অবাধে বালু তুলছেন। তিনি জানান, কথিত এক সাংবাদিকের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু তোলা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী চক্র এ নদের বিভিন্ন অংশে ড্রেজার বসিয়ে গভীর গর্ত করে বালু তুলছে। এতে নদের তলদেশ নিচু হয়ে যাচ্ছে এবং পানির স্রোতের ধাক্কায় দুই পাড়ের মাটি ধসে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, বালু উত্তোলনের ফলে নদের ওপর নির্মিত নতুন সেতুর ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, কুমার নদ সালথার প্রাণ। এই নদ যদি ভেঙে পড়ে, তাহলে কেবল একটি সেতু নয়, পুরো অঞ্চল পরিবেশগত ও অর্থনৈতিকভাবে সংকটে পড়বে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারলেন। কুমার নদ থেকে বালু তোলা বন্ধে যত দ্রুত সম্ভব অভিযান পরিচালনা করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ম র নদ

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে জাপা-এনসিপির পাল্টাপাল্টি মামলা নিল পুলিশ

রংপুরে শহরের সেন পাড়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবন স্কাইভিউয়ে হামলার দুই দিন পর জাপা ও এনসিপির দায়ের করা পাল্টাপাল্টি মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ।

রবিবার (১ জুন) বিকেলে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় এ দুটি মামলা নেওয়া হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে জাপা এবং শনিবার রাতে এনসিপির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত এজাহার জমা দেওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে মামলা নেওয়া হয়নি।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান মামলা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, এ মামলা দুটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা বাড়ির জানালার কাচ ভাঙচুর করে ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় জি এম কাদের বাসায় অবস্থান করছিলেন।

জাপা অভিযোগ করেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির কর্মীরা এ হামলায় জড়িত। তবে, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে, জি এম কাদেরের রংপুর আগমনকে ঘিরে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে জাপার লোকজন হামলা চালিয়েছে।

জাপার দায়ের করা মামলার বাদী জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা আরিফ। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরো ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দায়ের করা মামলার বাদী দলটির রংপুরের সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন। এতে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরো ৮০-৯০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই রংপুরে জাপা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। রবিবার রাত ৯টার দিকে রংপুর শহরের স্টেডিয়ামের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পে দুই দলের নেতাদের বৈঠক করেন ৭২ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম।

এ সময় ঘটনায় জড়িত দুই দলের অভিযুক্ত চার জন হাজির হন। জাপা চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার প্রসঙ্গে কর্মীদের হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের সমন্বয়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আইন-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটানোর অঙ্গীকার করেন দুই দলের স্থানীয় নেতারা। সেনা কর্মকর্তা রংপুরকে শান্তিপূর্ণ রাখতে মব ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথাও জানান সেই বৈঠকে।

সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও জাপার বাসভবনে হামলাকে কেন্দ্র করে এখনো রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঢাকা/আমিরুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ