মাঠের বাইরে তাসকিন আহমেদ। এবার ইনজুরিতে পড়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে চোটে পড়েন এই পেসার।
শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামীকাল রবিবার (১ জুন) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে পারবেন না শরিফুল।
জাতীয় দলের ফিজিও দেলোয়ার হোসেন বলেন, “লাহোরে শুক্রবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বল করার সময় শরিফুল চোট পান। এমআরআই স্ক্যানসহ পরবর্তী পরীক্ষায় শরিফুলের ডান পাশের রেকটাস ফেমোরিস মাংসপেশিতে গ্রেড ১ মাত্রার টান ধরা পড়েছে।”
আরো পড়ুন:
দুই পরিচালককে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে বিসিবি
বিসিবির নতুন সভাপতি বুলবুল
“এই চোটের কারণে শরিফুলকে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য দলে বিবেচিত হবেন না, যেন তিনি যথাযথভাবে সুস্থ হতে পারেন এবং বিসিবির মেডিকেল দলের তত্ত্বাবধানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে পারেন,” যোগ করেন ফিজিও।
এদিকে, পাকিস্তান থেকে এসে ১০ দিন পরই শ্রীলঙ্কা উড়াল দেবে বাংলাদেশ। তিন সংস্করণের এই সিরিজে শরিফুলকে পাওয়া যাবে কী না- সেটা এখন দেখার।
ঢাকা/রিয়াদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মৌসুমি বায়ু সক্রিয়, ছয় বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ বাদে বাকি ছয় বিভাগের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ গতকাল রোববারের চেয়ে আজ কম হতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টি আরও কমে যেতে পারে।
তবে যেহেতু মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় আছে, তাই এখন বৃষ্টি মোটামুটি হবে—এমনটা বলেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির।
তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে আজ বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেট ও চট্টগ্রামের পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরের নদী তিস্তার পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে। এটি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থায় চলে যেতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে। যমুনার পানিপ্রবাহ স্থিতিশীল আছে। এ অবস্থায় দেশের ছয় জেলার নদীসংলগ্ন এলাকায় বন্যার ঝুঁকির কথা গতকাল জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ছয় জেলা হলো সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ফেনী।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই ও হালদার সাত পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা এ অবস্থা থাকতে পারে।
দেশে এ বছর নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত সপ্তাহখানেক আগে ২৪ মে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এতে দেশজুড়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। গভীর নিম্নচাপটি চলে গেলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে মৌসুমি বায়ু।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এখন বৃষ্টি হচ্ছে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে। এটা এখন পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে।
গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীতে তিন মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়। বৃষ্টি বেশি হয়েছে সকাল ছয়টার পর থেকে। কিন্তু এ সময় কতটুকু বৃষ্টি হয়েছে, তার রেকর্ড এখনো আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাতে পারেনি।