Samakal:
2025-07-01@13:38:18 GMT

সকালের নাশতা কেন জরুরি

Published: 1st, July 2025 GMT

সকালের নাশতা কেন জরুরি

সকালের নাশতা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবারগুলির মধ্যে একটি। সকালের নাশতা খেলে একাধিক উপায়ে শরীরের উপকার হয়। এটি কেবল ক্ষুধা মেটায় না, বিপাক শুরু করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে মাথাব্যথা, হজমের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এ কারণে সকালের নাশতা না করা মোটেও ঠিক নয়। 

তবে, অনেকেই বিভিন্ন কারণে সকালের নাশতা এড়িয়ে চলেন। সময়ের অভাব, কখনও আবার রান্না করতে ইচ্ছে না করা, দেরী করে ঘুম থেকে ওঠা এরকম নানা কারণে এমনটা হতে পারে। যারা নিয়মিত সকালের নাশতা এড়িয়ে চলেন তাদের শরীরের কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-

দুর্বল বিপাক
নাশতা বাদ দিলে আপনার বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে। সারারাত উপবাসের পর, শরীরের কার্যকারিতা শুরু করার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। সেই শক্তি আসে সকালের নাশতা থেকে। তা না হলে শরীর বিপাকীয় প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে। 

ক্ষুধা এবং অতিরিক্ত খাওয়া
সকালের নাশতা এড়ালে দিনের শেষের দিকে প্রচণ্ড ক্ষুধা অনুভূত হয়। এর ফলে দুপুরে বা রাতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। উচ্চ চিনি এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতিও আগ্রহ বাড়ে থাকে, যা ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। 

শক্তি এবং মনোযোগ
সকালের নাশতা থেকে যে গ্লুকোজ পাওয়া তা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়। ঠিক সময়ে খাবার না পেলে মনোযোগের ঘাটতি দেখা দেয়। 

মেজাজের পরিবর্তন
সকালের নাশতা এড়ালে বিরক্তি, উদ্বেগ বাড়তে কিংবা মেজাজ খারাপ হতে পারে। 

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
যাদের ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আছে, সকালের নাশতা এড়ালে রক্তে শর্করার মাত্রা আরও খারাপ হতে পারে। নাশতা না করলে শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন শত

এছাড়াও পড়ুন:

বশের কীর্তিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় জয় প্রোটীয়াদের

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর প্রথম ম্যাচেই দাপট দেখাল প্রোটিয়ারা। ১১ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টেই কেশব মহারাজের দল স্বাগতিকদের হারিয়েছে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে। এটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ রানের জয়। বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৫৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনেই ২০৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।

এই ম্যাচে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন করবিন বশ। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১০০ রানের পর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে গড়েছেন অনন্য এক কীর্তি। ২০০২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে জ্যাক ক্যালিসের পর, তিনিই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান যিনি টেস্টের এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট ও সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখালেন। সব মিলিয়ে এই তালিকায় দেশটির চতুর্থ ক্রিকেটার বশ।

টেস্ট ইতিহাসে দীর্ঘ এই তালিকার প্রথম দুই ক্রিকেটারই দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৮৯৯ সালে কেপ টাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিমি সিনক্লেয়ার ও ১৯১০ সালে জোহানেসবার্গে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই অব্রে ফকনার গড়েন এই কীর্তি। ক্যালিস এই স্বাদ পান দুই দফায়।

বশের আগে সবশেষ বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ এই স্বাদ পান গত এপ্রিলে, চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। তবে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে মূল ভরসা ছিলেন প্রিটোরিয়াস। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ১৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে ৪১৮ রানে পৌঁছে দেন তিনি। যার ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

অন্যদিকে, অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা কোডি ইউসুফ দুই ইনিংসেই নেন ৩টি করে উইকেট। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ