বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
Published: 1st, July 2025 GMT
রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে আসাদুজ্জামান ধ্রুব (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শেষ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।
ধ্রুবর চাচা সাদিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মেরুল বাড্ডার ভাড়া বাসায় থাকতেন ধ্রুব। তার মা–বাবা গ্রামে থাকেন। ধ্রুবর গ্রামের বাড়ি বরিশালের কাউনিয়া থানায়। তার বাবা শামসুজ্জামান বাবুল মোটর পার্টস ও লেদ ব্যবসায়ী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে ধ্রুব ছিলেন ছোট। তিনি জানান, সোমবার বিকেলে ধ্রুবর মা ছেলেকে কল করে না পেয়ে, তাকে (সাদিকুর) জানান। তিনিও একাধিকবার কল দেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি ওই বাসায় যান। সেখানে গিয়ে ধ্রুবর ঘর ভেতর থেকে বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাননি। পরে বাড়িওয়ালার সহায়তায় বাড্ডা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ধ্রুবর অচেতন দেহ উদ্ধার করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ধ র বর
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১১
চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের চার সদস্য ও আন্দোলনকারী পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারী পক্ষের সূত্রে জানা গেছে, রাত নয়টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে গেছি। আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে নিয়ে আসার পরে ‘মব’ সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিন–চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।