বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ যাতে আবার মাথাচাড়া না দেয়
Published: 1st, July 2025 GMT
রাজধানীর হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ছিল ভীতি আর বিভাজন সৃষ্টি এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা। ৯ বছর আগের ভয়াবহ ওই হামলায় সাহসী যে মানুষগুলো প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের যেন ভুলে না যাই। বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ যাতে আবার মাথাচাড়া না দেয়, সে ব্যাপারে আমাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে।
গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ইতালির রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অতিথিরা এ কথাগুলো বলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্মরণ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। শুরুতে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো হোলি আর্টিজান বেকারির সামনে না করে তাঁর বাসায় অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, আগামী বছর এ জঙ্গি হামলার এক দশক পূর্তিতে হোলি আর্টিজান বেকারির সামনে স্মরণ ও শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হবে।
এরপর হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানস্থলে একটি নামফলকের সামনে ইতালি, জাপান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে ফারাজ আইয়াজ হোসেনের বড় ভাই যারেফ আয়াত হোসেন এবং বাংলাদেশ পুলিশ ও ঢাকায় অবস্থানকারী প্রবাসী ইতালীয়দের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতিনিধিরাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম বলেন, ‘২০১৬ সালের এই দিনে এক নিষ্ঠুর হামলা গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারির শান্ত পরিবেশকে চুরমার করে দিয়েছিল। আজ আমরা শুধু সেই মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে নয়, বরং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত লড়াইয়ের প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতেও একত্র হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘হোলি আর্টিজান হামলা ছিল আমাদের অভিন্ন মানবতার প্রতি এক নিষ্ঠুর আঘাত। এটি ছিল আমাদের প্রাণবন্ত, সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের কেন্দ্রে ভয় ও বিভাজন ছড়িয়ে দেওয়ার এক দুঃসাহসিক অপচেষ্টা।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ইতালির রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ট জ ন ব ক র অন ষ ঠ ন আম দ র স মরণ
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনার সামনে ‘অবৈধ জমায়েত’ ছত্রভঙ্গ প্রসঙ্গে পুলিশের বিবৃতি
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সন্নিকটে কতিপয় ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যরা বেআইনি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে ৪৪তম বিসিএসে পদসংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে রমনা পার্কের ‘অরুণ্যদয়’ গেট দিয়ে বের হয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে একদল আন্দোলনকারী।
বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা এখনো বলবৎ রয়েছে। তা সত্ত্বেও, উল্লিখিত এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রচেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কর্তৃক জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তি মেনে চলার জন্য এবং বর্ণিত বিষয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে পুনরায় অনুরোধ করেছে পুলিশ।
ঢাকা/এমআর/রাজীব