তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৬
Published: 1st, July 2025 GMT
ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারতের তামিলনাড়ুর শিবকাশি সংলগ্ন চিন্না কামানপট্টি গ্রামের একটি বাজি কারখানা। মঙ্গলবার ভোরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। আহত হয়েছেন অনেকে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন ভোরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় স্থানীয়দের। তারা বেরিয়ে দেখেন, দাউ দাউ করে জ্বলছে কারখানাটি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। যদিও কী কারণে এই বিস্ফোরণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা যাচ্ছে, বাজি কারখানাতেই বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ নেয়। ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
আরো পড়ুন:
ভারতে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নারী আটক
উল্লেখ্য, শিবকাশি এলাকাকে ‘ফায়ারওয়ার্কস ক্যাপিটাল অব ইন্ডিয়া’ বলা হয়। এখানকার বাজির কারখানাগুলো ছাড়াও ম্যাচ ও প্রিন্টিং শিল্পও সমানভাবে সক্রিয়। এই জেলার অর্থনীতির একটা বড় অংশই নির্ভরশীল এই শিল্পগুলোর উপর।
মাত্র একদিন আগেই তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় একটি ওষুধ তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারান অন্তত ৪২ জন। তামিলনাড়ুর ঘটনাতেও নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে ‘পালানোর’ অভিযোগে এক উপমহাপরিদর্শকসহ (ডিআইজি) পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ২৯ জুন এসপি, অতিরিক্ত এসপি ও এএসপি পদমর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে একই অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন— চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আল মিনা, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার এবং ডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরী।
ডিআইজি নুরে আলম সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে অনুপস্থিত রয়েছেন। ডিবির সাবেক ডিসি মানস কুমার পোদ্দারকে সবশেষ যুক্ত করা হয় কুমিল্লার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে। সেখানে তিনি গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে অনুপস্থিত।
এদিকে ডিএমপির সাবেক ডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরীকে এসপি হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলি করা হয়েছিল। কর্মস্থলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুসারে, পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় তাদের সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন এসব কর্মকর্তারা।’