শৈত্যপ্রবাহ কমছে, কাল থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা
Published: 11th, January 2025 GMT
দেশে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি কমে আসতে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার দেশের ১০ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। আজ শনিবার দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল রোববার থেকে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি আরও কমবে। তবে চলতি মাসের ১৫ তারিখ বা এর পর থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, পঞ্চগড়, গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার ও যশোরে এই শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এর মধ্যে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ওইখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল এই মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
অন্য জেলাগুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যদি কোনো এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে সেই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে বলে ধরা হয়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ তখনই হয়, যখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে।
আজ রাজধানীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির অবস্থান ‘লেজে কুকুরকে নাড়ানোর মতো বিষয়’ হাসনাত আবদুল্লাহ
জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে সরকার ভাবছে, বিএনপি নাকি বিবেচনা করছে। বিবেচনা করার কথা কার, আর করছে কে? লেজে কুকুরকে নাড়ানোর মতো বিষয়।’ বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা বলব, আপনারা আপনাদের কর্মীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন না।’
আজ শুক্রবার দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলের সভাকক্ষে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। ‘দেশ বাঁচাতে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে আজ বেলা ১২টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের আহবায়ক নাহিদ ইসলামের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
সভায় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আবারও একটি পাতানো নির্বাচন ও ফলাফল ঘোষণার দিকে হাঁটছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপিপন্থী বা এনসিপিপন্থী নির্বাচন কমিশন আমরা চাই না। আমরা বাংলাদেশপন্থী নির্বাচন কমিশন চাই।’
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘মনে রাখবেন, ছাত্রদের রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা কমিশনে বসেছেন। দর্শক সারিতে বসে অনেকে খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। খেলতে হলে মাঠে আসেন। কোচ বা রেফারি কেউ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় খেলতে পারবেন না। মাঠের বাইরে থেকে কেউ ফাউল করতে চাইলে শেখ হাসিনা, নূরুল হুদা ও ফারজানা রুপাদের মতো অবস্থা হবে।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সবই আগের মতোই চলছে। পরিবর্তন হলে চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে জুলাই আহতদের আজ এত অভিযোগ থাকত না। ৫ আগস্টের পরেও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কয়েকবার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। মাসে মাসে রাষ্ট্রের টাকায় বেতন নেওয়াটা তার বেকার হচ্ছে। আমলাদের সন্তানেরা যদি এদেশে পড়ত, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক হতো। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাদের দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে স্বাস্থ্য বিভাগ ও যোগাযোগ উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা গণপরিবহনে চড়লে যোগাযোগব্যবস্থা ঠিক হতো। নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুনট্যাগের রাজনীতি থেকে আমরা বের হতে চাই: নাহিদ ইসলাম১০ জুলাই ২০২৫হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে ৩২ ভাঙাটা মব ছিল। কিছুদিন পরে বলবে, ৫ আগস্টও মব ছিল। তারপর যশোরে হোটেল জাবিরের মামলায় সবাইকে জঙ্গি বানানো হবে। এ জন্য ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণা দেওয়া হবে। সেখানে সবাই আসুন।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন ঠেকাতে অনেক দল ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তারা সংস্কার আর বিচার চায় না, শুধু নির্বাচন চায়; কিন্তু আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একটি প্যাকেজেই সব চাই। একটি প্যাকেজে সবই হইতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, তাঁরা ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। যশোরে কোনো রাজনৈতিক দল তাঁদের খোঁজখবর নেয় না। এমনকি এনসিপি বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ তাঁদের খোঁজ নেননি। তাঁরা সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার দাবি করেন।
সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় নেতা নুসরাত তাবাসসুম, সাকিব শাহরিয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।