টিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল ও ভ্যাট বৃদ্ধি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত, বাতিলের দাবি বাসদের
Published: 10th, January 2025 GMT
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল না করে যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীকে জানানো এবং তা অন্য দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত ছিল বলে মনে করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। পাশাপাশি টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ এবং শতাধিক নিত্যব্যবহার্য পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোরও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। তারা এসব গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বজলুর রশীদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অনিয়মের অভিযোগ তুলে সারা দেশে টিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করেছে। এত বেশি কার্ডে অনিয়ম হওয়াটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই তাদের উচিত ছিল এই ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল না করে যথাযথ পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীকে জানানো এবং অন্য দরিদ্রদের মধ্যে তা বিতরণ করা; কিন্তু তারা তা না করে উল্টো টিসিবির ট্রাক সেল কর্মসূচিও ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করে দিয়েছে।
এই ট্রাক সেল কর্মসূচি চালু থাকলে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের মানুষ কম দামে অন্তত তেল, ডাল ও চাল কিনতে পারত জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাসদ দীর্ঘদিন ধরে জনজীবনের সংকট নিরসনের দাবিতে গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের জন্য সর্বজনীন রেশন ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করার দাবি জানিয়ে আসছে। অন্তর্বর্তী সরকার সে দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই বর্তমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের গণবিরোধী চরিত্র জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুনটিসিবির কর্মসূচি: ট্রাক সেল বন্ধ, ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল১৫ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ফলে জনজীবন এমনিতেই দুর্বিষহ। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত গ্রামীণ স্বল্প উপার্জনকারী এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তা দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে গভীর সংকট তৈরি করবে।
তাই বাসদের দাবি, অবিলম্বে সরকারকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও খেলাপি ঋণ আদায় করে শিল্প, কৃষি ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করে জনজীবনের সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের সকল প্রকার অনিয়ম ও গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুনটিসিবির কর্মসূচি: ট্রাক সেল বন্ধ, ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল১৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বিপিএল টিকিট কিনতে দীর্ঘ সাড়ি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা
ঢাকা ও সিলেটের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি, ২০২৫) চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বিপিএল চট্টগ্রাম পর্ব। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রামের একাধিক ভেন্যুতে শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রি। বিক্রির শুরু থেকেই শত শত ক্রিকেটপ্রেমি দর্শক টিকিট কিনতে প্রতিটি কাউন্টারে ভিড় করছেন। টিকিট সংগ্রহে দর্শকদের যাতে কোন ভোগান্তি না হয় এবং কোন ধরনের টিকিট কালোবাজারি যাতে না হয় সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এবং জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিটাক মোড় কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মধুমতি ব্যাংকের আগ্রাবাদ ও জিইসি মোড় শাখা থেকেও টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সকাল ১০টায় টিকিট বিক্রির শুরু থেকেই দীর্ঘ সাড়িতে দাড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে দর্শকদের।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের টিকিট সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন চট্টগ্রামের দর্শকরা। এ ছাড়া টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ২৫০০ টাকা।
আরো পড়ুন:
‘তামিম ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললে আমার নিজের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে’
ছোট সীমানা পেরিয়ে ‘আদর্শ ক্রিকেট’ মাঠে চট্টগ্রামের বিপিএল
গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ও রুফটপ হসপিটালিটিতে বসে খেলা উপভোগ করতে চাইলে গুনতে হবে ২৫০০ টাকা। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য ১৫০০ টাকা আর ক্লাব হাউজের টিকিটের মূল্য ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা ধরা হয়েছে ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ড টিকিটের মূল্য।
এছাড়া অনলাইনেও WWW.GOBCBTICKET.COM.BD এই ওয়েব সাইট থেকে টিকিট কিনতে পারবেন।
চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রির বুথকে ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ জানান, সকাল থেকেই সুশৃংখলভাবে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। দর্শকরা দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কিনছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও টিকিট কাউন্টার ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
রেজাউল/আমিনুল