অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় তাদের দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। 

তিনি জানান, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি কার্যালয় থেকে আফরোজ শাওন এবং সোহানা সাবাকে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। 

গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার হোটেল পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে শাওনের নাম উঠে আসে। এরপর তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। 

এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই অভিনেত্রীকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিজেদের হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে সরাসরি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় এই অভিনেত্রীর জামালপুরে নরুন্দি রেলওয়ে সংলগ্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। 

এরপর শুক্রবার সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে সোহানা সাবাকে আটক করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, অভিনেত্রী শাওনের পর সোহানা সাবা নজরদারিতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।

আওয়ামী লীগপন্থি শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভূমিকম্পে মৃত্যু: নরসিংদীর নাসির ‘আমাকে ধর’ বলতে বলতে লুটিয়ে পড়েন

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ধানের জমি দেখভাল করে বাড়িতে ফিরেছিলেন নাসির উদ্দীন (৬৫)। ঘরে বসে তিনি স্ত্রী মসলিনা বেগম, পুত্রবধূ রুখসানা বেগম ও নাতনি মিশু আক্তারের সঙ্গে গল্প করছিলেন। হঠাৎ সবকিছু কাঁপতে শুরু করলে তাঁরা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাঁচ মিনিট পর তাঁর মাথা চক্কর দেয়। বুকে হাত দিয়ে ‘আমাকে ধর’ বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

গতকাল ভূমিকম্পের সময় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কাজীরচর গ্রামের নাসির উদ্দীনের মৃত্যুর ঘটনা এভাবেই বলছিলেন তাঁর পুত্রবধূ রুখসানা বেগম।

রুখসানা বেগম বলেন, ‘ভূমিকম্পের আগে বাড়ির পাশের দোকান থেকে শ্বশুর পান কিনে আনেন। ওই পান খেতে খেতে আমাদের সঙ্গে গল্প করেন। ঝাঁকুনি শুরু হলে আমরা সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে উঠানে আসি। ওই সময় তিনি খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। বলছিলেন, এমন ভূমিকম্প জীবনে কখনো দেখেননি।’

পরিবারের সদস্যরা জানান, মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর সবাই নাসিরের মাথায় পানি দিতে থাকেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশী কয়েকজন এগিয়ে আসেন। সবাই মিলে তাঁকে দ্রুত কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তাঁর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তাঁরা।

নাসিরের নাতনি মিশু আক্তার জানান, ভূমিকম্পে হঠাৎ সবকিছু যখন কাঁপছিল, ভয়ে-আতঙ্কে অসুস্থবোধ করছিলেন তাঁর দাদা। এরপর তিনি মাটিতে পড়ে যান।

শরীয়তপুরের নড়িয়া এলাকার একটি মসজিদের ইমাম নাসির উদ্দীনের ছেলে আয়নাল মিয়া। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। আয়নাল মিয়া বলেন, ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনি তাঁর বাবা সহ্য করতে পারেননি। সে সময় তিনি মারা যান। তবে তাঁদের ঘরবাড়ির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

গতকাল রাত আটটার দিকে স্থানীয় ঈদগাহে নাসির উদ্দীনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পাশের সামাজিক কবরস্থানে তাঁর লাশের দাফন সম্পন্ন হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিশার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
  • শাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ ২০ জানুয়ারি, পুনঃ তফসিল কাল
  • কু‌ষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসের সাইনবোর্ডে আগুন
  • বাঁধনের ১৭ কেজি ওজন কমানোর পেছনের গল্প
  • নিখোঁজ ব্যক্তির মাটিচাপা লাশ মিলল বাড়ির উঠানে
  • কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন
  • দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
  • রাজশাহীতে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার
  • ২৪৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করল দ. আফ্রিকা
  • ভূমিকম্পে মৃত্যু: নরসিংদীর নাসির ‘আমাকে ধর’ বলতে বলতে লুটিয়ে পড়েন