সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মুসলিম সম্প্রদায়ের আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যশস্য অত্যন্ত সুলভমূল্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এসব কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রথম অধিবেশন শেষে এসব কথা বলেন খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, আগামী মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাসে প্রায় ৭ লাখ টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে দেড় লাখ টন করে দুই মাসে তিন লাখ টন চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে। এটা পাবে ৫০ লাখ পরিবার, প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে।

তিনি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে আরও ৫০ লাখ টন করে দুই মাসে এক লাখ টন চাল যাবে। ওএমএসের মাধ্যমে যাবে আরও এক লাখ টন। এছাড়া ঈদের সময় এক কোটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে একদম ফ্রি। এমন আরও কিছু কার্যক্রম রয়েছে।

‘এসব চাল বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে বড় সহায়তা করবে। বিতরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ করবে কিন্তু এর প্রধান তদারকি করবেন ডিসিরা। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এসব কার্যক্রম আগে নিবিড়ভাবে তদারকি হতো না। আমরা ঢাকার সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছি বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করার জন্য।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ঢাকা বিভাগের কমিশনারের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি, ফের মিটিং করব। এ বিভাগের যে ১২২টি বিক্রয় কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাকসেল আছে, টিসিবি ছাড়াও, প্রয়োজনে সেগুলো ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদারকি করতে বলেছি।

এ সময় খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুই মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ল খ টন ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

কোন সঞ্চয়পত্রে কত মুনাফা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা সবচেয়ে নিরাপদ। সুদের হারও বেশ ভালো। মধ্যবিত্তের সবচেয়ে নিরাপদ সঞ্চয় মাধ্যম হলো সঞ্চয়পত্র। এমন চিন্তা থেকে অনেকেই সঞ্চয়পত্র কেনেন।

অন্যদিকে ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি ভালো নয়। ব্যাংক খাতের এমন দুরবস্থার মধ্যে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ। আসল তো পাবেনই, মুনাফার নিশ্চয়তাও আছে। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়।

বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চার ধরনের সঞ্চয় আছে। এগুলো হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া বাকি সব সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগ করতে পারে।

প্রতিবছর জুলাই ও জানুয়ারি মাসে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পর্যালোচনা করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে, মুনাফার হার কম বেশি করা হয়। আগামী জানুয়ারি মাসেও মুনাফার হার পর্যালোচনা করা হবে। তাই জানুয়ারির আগে সঞ্চয়পত্র কিনলে বর্তমান মুনাফার হারেই টাকা পাবেন।

এবার দেখা যাক, একজন ব্যক্তি কোন সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কত।

মুনাফা কত

সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় পেনশনার সঞ্চয়পত্রে। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ৫ম বছর শেষে (অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তির পর) মুনাফা ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এই সঞ্চয়পত্রে যদি সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদপূর্তির পর মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান কিনতে পারবেন।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পর সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় পরিবার সঞ্চয়পত্রে। এই সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ করা হলে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে এই হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নারীরাই কিনতে পারবেন।

৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এ ছাড়া ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে। মনে রাখবেন, এই হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ হলে আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফা কমে যায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র না ভাঙাই ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ