‘ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ডিএনসিসির ঈদ আনন্দ উৎসব’
Published: 27th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডিএনসিসির ঈদ আনন্দ উৎসব ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে দিয়াবাড়ি সংযোগ সড়ক ও নতুন ১৮ওয়ার্ড প্রকল্পের অন্তর্গত উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজার হতে চামুরখান পর্যন্ত রাস্তার উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেছেন।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঢাকা উত্তরে ডিএনসিসির উদ্যোগে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত ঈদের জামাত শেষে ঢাকায় সবাই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বাসায় থেকে ঈদের দিন কাটিয়ে দেয়। আমরা এবার সবাইকে ঈদের উৎসবে যুক্ত করতে চাই। সুলতানী মোঘল আমলে পুরনো ঢাকায় একময় ঈদ মিছিল হতো। সেই পুরোনো ঈদ মিছিল আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। এই ঈদ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করবে শিল্পী, সংস্কৃত কর্মী, নারী-পুরুষ, শিশু, সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষ।”
আরো পড়ুন:
প্যারিসে হেলদি সিটি সামিটে ডিএনসিসি প্রশাসক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি পরিচালনা কমিটির পঞ্চম সভা
তিনি বলেন, “আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি দল-মত নির্বিশেষে সবাই ঈদ আনন্দ উৎসবে যোগ দিন। ঈদের জামাত শেষে সকাল ৯টায় পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঈদ আনন্দ মিছিল শুরু হবে। বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে দিয়ে আগারগাঁও প্রধান সড়ক হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে আনন্দ মিছিল।বর্ণাঢ্য এই আনন্দ মিছিলে ব্যান্ড পার্টি, ঘোড়ার গাড়ি, ঢোল, বাজনাসহ নানা আয়োজন থাকবে।”
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেসব জায়গায় জনদুর্ভোগ হচ্ছে সেসব জায়গায় অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব। সেই অনুযায়ী এক নম্বর অগ্রাধিকারে ছিল উত্তরা থেকে মিরপুর-১২ (মিরপুর ডিওএইচএস) নম্বর যাওয়ার রাস্তাটি। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম রোজার মধ্যেই রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করবো।প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদের আগে ঈদের উপহার হিসেবে উত্তরা থেকে মিরপুর-১২ (মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে মিরপুর ডিএএইচএস) যাওয়ার রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন করলাম। ঈদে অনেকে এখানে ঘুরতে আসবে। মানুষ যেন আনন্দে ও নির্বিঘ্নে ঘুরতে আসতে পারে সেটি মাথায় রেখেই রাস্তাটি নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “রাস্তাটি জলাধারের ওপর দিয়ে গিয়েছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতেই আমরা সাময়িকভাবে এই রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দিয়েছি। ডিএনসিসির কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। জলাধারের পানির প্রবাহ বজায় রাখতে ভবিষ্যতে উঁচু ব্রিজ করে স্থায়ী রাস্তা নির্মাণ করা হবে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা সাময়িকভাবে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কাছে আবেদন করি। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডকে ধন্যবাদ সদয় অনুমোদনের জন্য। তাদের সহযোগিতায় ঈদের আগেই রাস্তাটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।”
সড়ক উদ্বোধনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো.
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স আনন দ ম ছ ল ড এনস স র ঈদ আনন দ ম হ ম মদ প রকল প র রহম ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মেহেদি উৎসবের মাধ্যমে ইবিতে প্রকাশ্যে এল ছাত্রী সংস্থা
দুই দিনব্যাপী মেহেদী উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এ উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি।
আরো পড়ুন:
ইবিকে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের
জবি শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সরেজমিন দেখা যায়, বটতলার পাশেই সুসজ্জিত ছাউনি টাঙিয়ে চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বুথ সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য, বাকিগুলোতে উপহার, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন ব্যানার টানানো হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংগঠনটি নতুন সদস্য আহ্বান এবং নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করছে।
উৎসবের প্রথম দিনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেককে লাইনে দাঁড়িয়েও মেহেদি নিতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, “ইসলামী ছাত্রসংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবের ভেতরের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। মেয়েরা একে অপরকে মেহেদি দিচ্ছে। এই দৃশ্যটা দেখতেই অনেক ভালো লাগছে, আমি নিজেও দিয়েছি। অনেক সুন্দর একটা আয়োজন করেছে তারা।”
তিনি বলেন, “ওদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমার আগে বিশেষ কোনো ধারণা ছিল না। আগে জানতাম তারা শুধু পর্দা নিয়ে কাজ করে। তবে ইদানিং দেখছি, তারা বেশ ভালো ভালো কিছু কাজ করছে। আশা রাখছি, সংগঠনটি ভালো কিছু করবে।”
সংগঠনটির ইবি শাখা সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মেহেদি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এটি সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার অংশ হিসেবে শুধু ছাত্রীদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। আমাদের শাখা নিয়মিতভাবেই নানাবিধ ইতিবাচক কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে।”
তিনি আরো বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে এমন আয়োজন বৃহত্তর পরিসরে করা সম্ভব হয়নি। তবে ফ্যাসিস্ট পরবর্তী সময়ে এসে আমরা ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রমগুলো পুনরায় শুরু করেছি এবং ইনশাআল্লাহ সামনে তা আরো বিস্তৃত হবে। আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে সকল ছাত্রীবোনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী