যাদের নির্বাচন থেকে বাদ দেবেন, তারা কী ঘরে বসে আঙুল চুষবে
Published: 20th, April 2025 GMT
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সরকার একটি দল গঠন করেছে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সংস্কার চালাচ্ছে। যেনতেনভাবে তাদের নির্বাচনে পাস করাবে। সেই নির্বাচন কী হাসিনার নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে? শেখ হাসিনা সব কিছু হাতে নিয়েও থাকতে পারলেন না, আপনারা কত দিন থাকতে পারবেন? যাদের নির্বাচন থেকে বাদ দেবেন, তারা কী ঘরে বসে আঙুল চুষবে?
রোববার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কার কমিশনের নেতৃত্বের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সরকার দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব করেছে, এটা কখনও বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারাই প্রয়োজন মতো সংস্কার করবেন।
দেশ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই দেশের মঙ্গল হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে, গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। গ্রহণযোগ্যতা না পেলে দেশে বিনিয়োগ হবে না, কর্মসংস্থান হবে না, বেকারত্ব বাড়বে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে রাজউক ঘেরাও
স্বেচ্ছাচারিতা, প্ল্যান পাসে অনিয়ম ও বিতর্কিত ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সংশোধনের দাবিতে ঢাকার মতিঝিলে রাজউকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করছেন ভূমি মালিকরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ‘ঢাকা সিটি ল্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’এর ব্যানারে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন প্রকৌশলী, স্থপতি ও আবাসন খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও।
কর্মসূচি থেকে অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক প্রফেসর দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ বলেন, “নতুন ড্যাপ বাস্তবায়নের ফলে ঢাকার দুই লক্ষাধিক জমির মালিক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি জানিয়ে আসছিলাম, কিন্তু রাজউকের পক্ষ থেকে বারবার তা উপেক্ষা করা হয়েছে। তাই আজ আমরা বাধ্য হয়ে রাজউক ঘেরাও কর্মসূচিতে এসেছি।”
ভূমির একাধিক মালিক অভিযোগ করেন, রাজউকের স্বেচ্ছাচারী নীতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্ল্যান পাসে জটিলতা তৈরি হয়েছে। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি ছাড়া সাধারণ মানুষ এখন ঘর বানাতে পারছে না। ড্যাপে বিভিন্ন এলাকার প্লটের ব্যবহারযোগ্যতা হঠাৎ করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভূমি মালিকদের আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা চাই যৌক্তিক ভিত্তিতে ড্যাপ সংশোধন হোক। আমাদের জমি যেভাবে রাস্তায় কিংবা খোলা স্থানে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যবহারযোগ্যতা নষ্ট করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু প্ল্যান নয়, ইমারত নির্মাণ বিধিমালাও এমনভাবে করা হয়েছে যেন মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষ ঢাকায় ঘর তুলতেই না পারে।”
অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, তারা ইতিপূর্বে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু রাজউক তাদের দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি। বরং সময়ক্ষেপণ ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার করা হচ্ছে।
অবস্থান কর্মসূচির ফলে মতিঝিল এলাকায় সকাল থেকেই যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আজকের ঘেরাও কর্মসূচিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে, তার দায় সম্পূর্ণভাবে রাজউকের ওপর বর্তাবে।
ড্যাপ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ড্যাপ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এতে জনগণের অংশগ্রহণ ও বাস্তবতা অনুপস্থিত। ফলে তা নিয়ে বিরোধ বাড়ছে।
ঢাকা সিটি ল্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, অবিলম্বে ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে, ভূমি মালিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
ঢাকা/এএএম/ইভা