জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সরকার একটি দল গঠন করেছে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সংস্কার চালাচ্ছে। যেনতেনভাবে তাদের নির্বাচনে পাস করাবে। সেই নির্বাচন কী হাসিনার নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে? শেখ হাসিনা সব কিছু হাতে নিয়েও থাকতে পারলেন না, আপনারা কত দিন থাকতে পারবেন? যাদের নির্বাচন থেকে বাদ দেবেন, তারা কী ঘরে বসে আঙুল চুষবে? 

রোববার  রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংস্কার কমিশনের নেতৃত্বের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সরকার দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব করেছে, এটা কখনও বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারাই প্রয়োজন মতো সংস্কার করবেন।

দেশ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই দেশের মঙ্গল হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে, গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। গ্রহণযোগ্যতা না পেলে দেশে বিনিয়োগ হবে না, কর্মসংস্থান হবে না, বেকারত্ব বাড়বে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাকসু নির্বাচনের তফসিল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে তফসিল স্থগিতের ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনার ড. মোহসীন আহসান। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. শাহজামান, নির্বাচন কমিশনার মো. আমির শরীফ, মো. মাসুদ রানা, ড. মোহসিনা আহসান, মো. হাসান আলী ও ড. প্রদীপ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার ড. মোহসীন আহসান বলেন, ‘‘হলভিত্তিক ভোটার তালিকার অসঙ্গতি দূর না হওয়া পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণসহ তফসিলের অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।’’

কমিশন অভিযোগ করে, হলভিত্তিক ভোটার তালিকা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করার পর যে তালিকা ও হল সংযুক্তি সম্পর্কিত নথিপত্র প্রদান করা হয়েছে, তাতে একাধিক অসঙ্গতি; ভুল তথ্য এবং অসম্পূর্ণতা পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে নির্বাচনী ন্যায়সঙ্গতা, স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিরুদ্ধে যাবে।

কমিশন মনে করে, ভোটার তালিকার ভুল, বাদ পড়া, দ্বৈততা এবং অসামঞ্জস্য দ্রুত সংশোধন করতে হবে। সংশোধিত ও যাচাইকৃত ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের নিকট দ্রুত সরবরাহ করতে হবে। যেন নির্বাচন কার্যক্রম কোনো বিলম্ব ছাড়া পুনরায় শুরু করা যায়। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

এর আগে, সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন।

ঢাকা/সাজ্জাদুর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাকসু নির্বাচনের তফসিল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
  • জাতীয় নির্বাচন ঘিরে শঙ্কা ও সতর্কতাগুলো কী