গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে থাকা সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  দানিউল হক মোল্লা দানী (৬০) মারা গেছেন।  সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

দানিউল হক মোল্লার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা.

হাবিবে মিল্লাত মুন্না ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।

মারা যাওয়া দানিউল হক মোল্লা সিরাজগঞ্জ পৌরসভার দিয়ারধানগড়া মহল্লার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

আরো পড়ুন:

রূপগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ: দগ্ধ ২ নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

কচি ঘাস খেয়ে ৩ গাভির মৃত্যু, নমুনা সংগ্রহ

স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ঢাকার একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন দানিউল হক মোল্লা। আজ সকালে রক্তে সুগার জিরো হয়ে গেলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। এশার নামাজের পরে দিয়ারধানগড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে মালসাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ স র জগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই আদেশ দেন।

আরো পড়ুন:

কৃষক হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি জেলার কামারখন্দ উপজেলার পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আবু তালহার ছেলে। মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন একই গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন সুরভীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ইসমাইল স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ২০২০ সালের ১৯ জুন সুমাইয়া খাতুন সুরভীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় ইসমাইল হোসেন, তার বাবা আবু তালহা ও মা সাহিদা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহন ও শুনানি শেষে বিচারক আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ