ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের বেজগাঁও এলাকা থেকে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ট্রাকসহ ৫৭টি তেলের ব্যারেল উদ্ধার ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মো. আলম (৩২), নূর আলম ওরফে আলমগীর হোসেন (৩৮), মো.

হেলালুজ্জামান (৩২), ও জোবায়ের আহমেদ জীবন ওরফে রাজা । 

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান শ্রীনগর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। 

পুলিশ জানায়, গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর মাল্টি ইন্টারন্যাশনাল ওয়েলমিল থেকে ৭৫ ড্রাম পাম তেল (মূল্য আনুমানিক ২১,৭৫,০০০ টাকা) নিয়ে একটি ট্রাক ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রাকটি রাত ৯টার দিকে শ্রীনগরের বেজগাঁও যাত্রী ছাউনির কাছে পৌঁছলে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে থামায় পিকআপে আসা ৬ জনের একটি ডাকাত দল। তারা চালক মো. রাসেল (২২) ও হেলপার মো. আল-আমিন হোসেনকে (২৩) হাতকড়া পড়িয়ে পিকআপে তোলে এবং জোরপূর্বক নেশাজাতীয় জুস খাইয়ে অচেতন করে ফেলে। এরপর চালক ও হেলপারকে ছনবাড়ী-মুন্সীগঞ্জ সড়কের পাশে ফেলে ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

ট্রাকের মালিক জিপিএসের মাধ্যমে ট্রাকটির গতিবিধি লক্ষ্য করে রাত ১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ ট্রাকচালক ও হেলপারকে উদ্ধার এবং কল্লিগাঁও বড় জামে মসজিদের পাশে রাস্তার কাছে ১৮ ড্রামভর্তি তেলসহ ট্রাকটি জব্দ করে। এ ঘটনায় ২ মে শ্রীনগর থানায় মামলা করা হয়।

শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, মামলা করার পর জেলা পুলিশের একাধিক ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তি, সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৪ মে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার মেসার্স জামাল এন্টারপাইজ অ্যান্ড ভ্যারাইটিজ স্টোর থেকে ৩৫টি ড্রামভর্তি তেল ও ২২ খালি তেলের ড্রাম উদ্ধার করে।  এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ র নগর শ র নগর

এছাড়াও পড়ুন:

চিহ্নিত গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে ঢাবিকে কলঙ্কিত করেছে শিবির, বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবসে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে জাতির গৌরবময় ইতিহাসকে ইসলামী ছাত্রশিবির বিকৃত করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন হিসেবে ক্যাম্পাসে শিবিরের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি তামজিদ হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রক্টরের অপসারণ দাবি করেছে সংগঠনটি।

ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়, ’৯০–এর সামাজিক চুক্তি অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক-ফ্যাসিস্ট সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লজ্জভাবে শিবিরকে নরমালাইজ করার চেষ্টা করেছে। ঢাবি প্রক্টরের পক্ষপাতমূলক আচরণ শিবিরের এই জঘন্য কাজকে উৎসাহিত করেছ। তাঁর এ রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ আগামী দিনের সহাবস্থানের রাজনীতি তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঢাবি প্রক্টর ক্যাম্পাসের ভেতরে তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক গ্রাফিতি মুছে ফেলা, চারুকলার ভেতরে ঢুকে শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়া, একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আমলে না নেওয়াসহ নানা অভিযোগের সুষ্ঠু বিচারে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অতএব ঢাবি প্রক্টরকে অপসারণ না করলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মতোই শিবিরের দলীয় আধিপত্য কায়েম হবে।’

চব্বিশের নাম দিয়ে একাত্তরকে অবমূল্যায়নের মাধ্যমে ছাত্রশিবির জুলাই গণ–অভ্যুত্থান পরিপন্থী অবস্থান নিয়েছে বলে বলা হয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতিতে পুর্নবাসনের সুযোগ পেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী গণহত্যকারীদের উদ্‌যাপনের চেষ্টা গণ–অভ্যুত্থানকে জনতার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেটস্থ করার অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করি। এর আগেও ছাত্রশিবির মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করে তাদের নিজস্ব প্রকাশনায় বিতর্কিত লেখা ছেপে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ