৬৫ বছর পর বাবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল খুঁজে পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য
Published: 9th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, যাঁর বাবা ড. শফিক আহমদ খানও ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ১৯৬০ সালে তাঁর বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ছিলেন।
স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অর্জন করেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান। দীর্ঘ ৬৫ বছর পর তাঁর বাবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
গত বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগময় স্ট্যাটাসে বাবার পরীক্ষার ফল খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো আর্কাইভাল রেকর্ড থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় অনেক চেষ্টার পর আমার বাবার ১৯৬০ সালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল খুঁজে পেলাম। তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। ফজলুল হক মুসলিম হলে সংযুক্ত ছিলেন। সন্তান হিসেবে ভালো লাগছে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
জানা গেছে, ড.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ পেয়ে যাবেন, এটা আর হবে না
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘শিক্ষার্থী নির্বাচনের আগে প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচন করতে হবে। যে নিজে কখনো ফ্রিল্যান্সিংয়ে দুই ডলার আয় করেননি, তিনি কোনো প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন না। আপনারা আসবেন আর রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ পেয়ে যাবেন, এটা আর হবে না। এটা মনে রাখবেন।’
আজ সোমবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় জানানো হয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্প। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। ৮ বিভাগ, ৪৪ জেলা ও ১৩০ উপজেলায় এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২২ সালের জুলাইয়ে এবং শেষ হবে ৩০ জুন ২০২৫। প্রকল্পটির মোট বাজেট ২৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন, ‘কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান না থাকলেও তাঁদের আমাদের আয় করা শেখাতে হবে। কিন্তু তাঁদের যদি কম্পিউটার সম্পর্কে কোনো ধারণাই না থাকে, তাহলে কীভাবে আয় করাব আমরা?’ এই প্রশ্নের উত্তরেই রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কাজ না পাওয়ার কথা জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
কর্মশালায় বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীরা উপস্থিত হন। এ সময় গাইবান্ধা ও গাজীপুর থেকে আসা মিতা ও মিমি আক্তার তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে আমরা নিজেদের সফলই বলব। আমরা এখন নিজেদের দক্ষতা দিয়েই কাজ করছি এবং আয়ও করছি। শেখাটা কাজে লেগেছে।’
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় নারীদের ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সাত সদস্যের বাছাই ও মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সার, আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার, কল সেন্টার এজেন্ট ও ই–কমার্স পেশাজীবী গড়ে তুলতে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ১২৫ নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৭ হাজার ৮৪০ নারী প্রশিক্ষণ চলাকালে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয়ও করেছেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদ।