ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, যাঁর বাবা ড. শফিক আহমদ খানও ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ১৯৬০ সালে তাঁর বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ছিলেন।

স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অর্জন করেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান। দীর্ঘ ৬৫ বছর পর তাঁর বাবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

গত বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগময় স্ট্যাটাসে বাবার পরীক্ষার ফল খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো আর্কাইভাল রেকর্ড থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় অনেক চেষ্টার পর আমার বাবার ১৯৬০ সালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল খুঁজে পেলাম। তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। ফজলুল হক মুসলিম হলে সংযুক্ত ছিলেন। সন্তান হিসেবে ভালো লাগছে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

জানা গেছে, ড.

শফিক আহমদ খান পরবর্তী সময়ে ইউরোপের সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিস্টিংশনসহ ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের সুপিরিয়র ফরেস্ট সার্ভিস ও বিসিএসে (বন) যোগদান করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পর ক ষ প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু

‘বিদেশি নয়, দেশীয় বৃক্ষে ঢাবি সাজাই’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃক্ষশুমারি শুরু হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান মল চত্বরে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বৃক্ষশুমারি উদ্বোধন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ এবং গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচার সেন্টার এ বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

আরো পড়ুন:

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা বাস্তবায়নে বিক্ষোভের ডাক

আমাদের মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

এ সময় আরবরিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, পরিবেশ সংসদের নেতৃবৃন্দ, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃক্ষশুমারি কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ঢাবিতে নানা প্রজাতির বৃক্ষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এই বৃক্ষশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উৎসাহ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতেও এই শুমারি অবদান রাখবে। এর মাধ্যমে আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব।”

ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রেও এই শুমারি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের একটি দল বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আইকনিক ল্যান্ডস্কেপে পরিণত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল ও বনজ বৃক্ষের সংখ্যা ও ঘনত্ব নির্ণয়, বৃক্ষের স্বাস্থ্য, দেশী গাছ ও বিদেশি গাছের সংখ্যা নির্ণয়, প্রাচীন গাছের সংখ্যা নির্ণয়, বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় গাছের তালিকা তৈরি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকারক গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে কাজ করবে তারা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবিতে গবেষণা পদ্ধতিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • ঢাবিতে বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
  • বিএসএফের ‘পুশ-ইন’ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি খেলাফত মজলিসের
  • প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু
  • আমাদের মাঝে মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
  • চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
  • ঢাবিতে পঞ্চম জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত
  • সিলেটে আইনজীবী হত্যায় ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
  • সিলেটে বাবাকে হত্যা: ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড