ওয়ালটনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফায়ার সেইফটি প্রশিক্ষণ
Published: 10th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত হয় ‘অগ্নিনিরাপত্তা, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রশিক্ষক টিমের মাধ্যমে প্রদত্ত অগ্নিনির্বাপন, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
বসুন্ধরায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির কর্পোরেট অফিসের অলোম্পিয়াস হলরুমে এই সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
আরো পড়ুন:
৯ মাসে ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৬৯৬.
ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করার উদ্যোগ ওয়ালটনের
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ মো. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইএচএস বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি হিসাবে ওয়ালটনের এএমডি মো. নজরুল ইসলাম সরকার উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে ফায়ার সেইফটি প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন এবং সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’