তিন দফা দাবি আদায় না হলে সড়ক ত্যাগ নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
Published: 10th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী, রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। আজ শনিবার ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ দিকে তিন দফা দাবিতে শাহবাগ থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগে চারটি খুঁটিতে ১২টি মাইক লাগানো হয়েছে। এগুলোতে নানা ধরনের স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
তাদের বাকি দুটি দাবি হলো- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
হাসনাত ফেসবুক পোস্টে বলেন, এই তিন দফার একটি বাকি থাকতেও ছাত্র-জনতা রাস্তা থেকে উঠবে না। আমরা পাঁচ অগাস্টের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এসেছি। আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়বোই। কোনো ষড়যন্ত্র কাজ হবে না। প্রিয় সংগ্রামী সহযোদ্ধা, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না।
এ দিকে শাহবাগে অবস্থানকে কেন্দ্র করে কাঁটাবন মোড়, মৎস্যভবন, টিএসসি মোড়, বাংলামোটর থেকে শাহবাগমুখী সড়ক বন্ধ রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ), ইনকিলাব মঞ্চ, খেলাফত মজলিস, জুলাই ঐক্য, জুলাই মঞ্চ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে এতে বিএনপি অথবা ছাত্রদলের কেউ অংশ নেননি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের যখন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখন একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়াচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন, জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজিত এক সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতেই সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে একটি মহল। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সজাগ থাকতে হবে, সেইসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে, সমস্ত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য। সীমান্তের ওপার থেকে যে ষড়যন্ত্র চলছে- সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে। কেউ যেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৗমত্ব বিলীন করতে না পারে।
এদিকে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক দল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। সেই থেকে বিএনপি এই দিবসটিকে ‘শাহাদাৎ দিবস' হিসেবে পালন করে।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দল ও অঙ্গ-সংগঠনের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি ঘোষণা করে রিজভী বলেন, যেহেতু ৭ জুন কোরবানি ঈদ হওয়ায় আমাদের কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কর্মসূচি হবে আট দিনব্যাপী। অর্থাৎ ২৫ তারিখ থেকে ২ জুন পর্যন্ত।
৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনা সভা, দুস্থদের মধ্যে চাল-ডালসহ বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুইদিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অর্ধনিমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেবে দলটি।
কর্মসূচির মধ্যে আছে, ২৯ মে বিকাল তিনটায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং মসজিদে মসজিদে গণদোয়ার আয়োজন করা হবে।