পররাষ্ট্রসচিবসহ ৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে অফিসার্স ক্লাব
Published: 13th, May 2025 GMT
দুর্নীতি ও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে অফিসার্স ক্লাব। একই অভিযোগে আরও সাবেক পাঁচ সচিবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার অফিসার্স ক্লাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত সেপ্টেম্বরে জসীম উদ্দিনকে পররাষ্ট্রসচিব করা হয়।
পররাষ্ট্রসচিব ছাড়া সদস্যপদ স্থগিত হওয়া অন্য পাঁচজন হলেন সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, দুদকের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ জহিরুল হক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ও পিএসসির সদস্য এস এম গোলাম ফারুক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো.
অফিসার্স ক্লাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চালু হয়েছে। দুর্নীতি ও অনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় নৈতিক স্খলনের কারণে তাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত হলে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।
রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত অফিসার্স ক্লাব সরকারি কর্মকর্তাদের একটি কল্যাণমূলক সংগঠন। এ ক্লাবের চেয়ারম্যান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ১০৬ জন কর্মকর্তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্যসচিবসহ ৭০ জন সচিব ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রসচ ব অফ স র স ক ল ব র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
‘মাথায় সমস্যা’র চিকিৎসা নিতে এসে চিকিৎসকের ওপর চড়াও, ধরে দেওয়া হলো থানায়
‘মাথায় সমস্যা’ দেখা দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ থেকে এক তরুণকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁর মা–বাবা। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আরিফ হোসেন নামের ওই তরুণকে নিউরোসার্জারির চিকিৎসক দেখাতে আনা হয়। সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফ চিৎকার করে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। এরপর ওই তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আরিফ ওই চিকিৎসকের ওপর চড়াও হলে তার প্রতিবাদে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের অন্য চিকিৎসকেরা রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ওই ওয়ার্ডে আসেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পরিচালকের নির্দেশে হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আরিফকে আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশের সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, আরিফ হোসেনকে ডিএমপি অধ্যাদেশ আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হবে।
আরিফ (১৮) সপরিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিমপুর খিল মার্কেট এলাকায় থাকেন। তিনি সেখানে একটি প্রিন্টিং কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁর বাবা তাজউদ্দীন ও মা শিল্পী বেগম। ঘটনার পর তাঁরা হাসপাতালের পরিচালককে বলেন, নারায়ণগঞ্জের একজন চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁরা ছেলেকে এই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসক দেখাতে এবং সিটি স্ক্যান করাতে এসেছিলেন।
আরিফের অভিভাবকেরা জানান, এক সপ্তাহ আগে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় তাঁদের ছেলে মারধরের শিকার হয়েছিলেন। তার পর থেকে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। তিনি ঠিকমতো কথা বলেন না, হঠাৎ রেগে যান। সেই ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক দেখাচ্ছেন। এই কথা শোনার পর ও কাগজপত্র দেখে চিকিৎসকেরা শান্ত হন এবং কাজে ফিরে যান। ফলে ওয়ার্ডের চিকিৎসাসেবা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. আসাদুজ্জামান তখন বলেন, আরিফের মা-বাবা হাসপাতালে এসেই চিকিৎসককে এ কথা কেন জানালেন না। তাহলে তো এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত না।