ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি ক্যাম্পে থাকার পরও চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি ফাহামিদুল ইসলামের। এবার ভুটানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ আর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য ফাহামিদুলকে ডেকেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

আজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে এক বার্তায় এমনটা জানিয়েছে ফাহামিদুলের ক্লাব ওলবিয়া কালসিও। ওলবিয়া ইতালির ঘরোয়া ফুটবলের চতুর্থ স্তরের ক্লাব। সিরি ডিতে ‘জি’ গ্রুপে রয়েছে তারা।

আরও পড়ুনফাহামিদুলের ‘দ্বিতীয় পরীক্ষা’ নিতে চান কোচ কাবরেরা২৩ এপ্রিল ২০২৫

ইতালিয়ান ক্লাবটি লিখেছে, ‘ওলবিয়া আনন্দের সাথে জানাচ্ছে যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ফাহমিদুল ইসলামকে আবার ডেকেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে তাঁর ডাক পাওয়ার আনুষ্ঠানিক চিঠি ক্লাবের প্রধান কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। ৪ জুন প্রীতি ম্যাচ এবং ১০ জুন সিঙ্গাপুর জাতীয় দলের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের জন্য তাঁকে চেয়েছে বাংলাদেশে।'

বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মে শুরু জাতীয় ফুটবল দলের প্রাথমিক ক্যাম্পের জন্য ফাহামিদুলকে চেয়েছিল ফেডারেশন। ইতালির চতুর্থ বিভাগের ক্লাবটি ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বাফুফের চিঠির উত্তর দেয়। সেই চিঠিতেই মূলত ফাহামিদুলকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার অনাপত্তিপত্র দেয় ওলবিয়া।

বাংলাদেশের জার্সিতে জুনে অভিষেক হতে পারে ফাহামিদুলের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ হ ম দ লক ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ