Risingbd:
2025-11-02@13:16:59 GMT

গোধুলি বেলায় আলোর দেখা

Published: 17th, May 2025 GMT

গোধুলি বেলায় আলোর দেখা

মুখে সেই চেনা হাসি। প্রিয় কালো রঙের জ্যাকেট। মাথায় একই রঙের ক্যাপ। টি-শার্টটা ছাই রঙা। তার হাস্যোজ্জ্বল মুখটাই বলে দিচ্ছিল, প্রিয় ভুবনে ফেরার আনন্দ কতটা। 

মাসখানেক আগেও যে সফর ছিল অনিশ্চিত, সময়ের ব্যবধানে সেখানেই ফিরে আসা। তাই তো মুখে চওড়া হাসি নিয়ে সাকিব আল হাসানকে বলতে শোনা গেল,“খুবই উচ্ছ্বসিত।”

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এখন সাকিবের ঠিকানা লাহোর কালান্দার্স। স্থগিত হওয়া পিএসএলে বাকি ম্যাচগুলোতে অংশ নিতে সাকিব গেছেন পাকিস্তানে। অন্তত চার ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলেছে তার। সাড়ে পাঁচ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে আবুধাবি টি-টেন ক্রিকেটে। সেখানে বাংলা টাইগার্সের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলেছেন ৩০ নভেম্বর। এর পর নানা ঘটনায় আটকে গেছে তার ২২ গজে ফেরা। 

দেশের ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি। জাতীয় দলে উপেক্ষিত। খেলার সুযোগ পাননি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও। সঙ্গে যোগ হয়েছিল বোলিং অ্যাকশনের উটকো ঝামেলা। সব পথ পেরিয়ে, সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা এখন মাঠে নামার অপেক্ষায়।

সাকিবের ভাগ্য খুলেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধর কারণে। পিএসএল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক বিদেশি ক্রিকেটার পাকিস্তান ছেড়েছিলেন। তাদের ফেরার সম্ভাবনা না থাকায় পিএসএল কর্তৃপক্ষ তাকাচ্ছে নতুন মুখের দিকে। সাকিব অ্যাভেইলেভেল থাকায় তাকে লুফে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। 

আট বছর পর সাকিবের অপেক্ষায় পিএসএল। এর আগে দুইবার খেলেছেন করাচি কিংস এবং পেশোয়ার জালমির হয়ে। করাচির হয়ে ৮ ম্যাচ ও পেশোয়ারের হয়ে ৫ ম্যাচ খেলেছেন। এবার তার ঠিকানা লাহোর।

সুযোগ আসবে কি না, সাকিব মাসখানেক আগেও নিশ্চিত ছিলেন না। তবে, ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ব্যাট-বলের জং ছাড়াতে ও শরীরের জড়তা দূর করতে সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে। যেখানে ৮-১০ দিন অনুশীলন করেছেন। 

জাতীয় দলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু, বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সাকিবকে পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না আইপিএল, পিএসএল কিংবা অনান্য লিগ। বোলিং অ্যাকশন শুধরে ছাড়পত্র পাওয়ার পর সাকিবকে নিয়ে নতুন লড়াই শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তার এজেন্ট সেকেন্ড ইনিংস স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট (এসআইএসই)। ২০১৪ সাল থেকে সাকিবের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট দেখভাল করছে প্রতিষ্ঠানটি।
পিএসএল নতুন করে শুরু হওয়ায় আশার দুয়ার খুলে যায়। সাকিবকে লাহোরের সঙ্গে যোগাযোগের সব ব্যবস্থা করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর সাকিবের এখন লাহোরের জার্সিতে মাঠে নামার পালা।   

বয়স বাড়ছে প্রতিনিয়ত। মাঠে থাকার সময়ও ফুরিয়ে আসছে সাকিবের। গোধুলির এই সময়টা হুট করে আসা সুযোগটি সাকিবের কাছে নিশ্চিতভাবে বিরাট পাওয়া। আলোর দেখা পেয়ে সাকিবও জ্বলে ওঠার অপেক্ষায়। ব্যাট-বলের দারুণ রসায়নে ২২ গজে চেনা দ্যুতি ছড়িয়ে ধ্রুপদী হয়ে উঠবেন বাংলাদেশের তারকা, এমন চাওয়া তো কোটি ক্রিকেটভক্তের। 

ঢাকা/ইয়াসিন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল ঞ চ ইজ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ