সৌদি থেকে বাড়ি ফিরেছেন দুপুরে, রাতে কুপিয়ে জখম যুবককে
Published: 17th, May 2025 GMT
নড়াইল সদর উপজেলায় সৌদি থেকে বাড়ি ফেরার কয়েক ঘণ্টা পর এক প্রবাসীর ওপর হামলা করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় ঠেকাতে আসা আরও একজনকে মারধর করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার চণ্ডীবরপুর ইউনিয়নের চালিতাতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত প্রবাসীর নাম মো. আজিম মোল্যা। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার চণ্ডীবরপুর ইউনিয়নের ধুড়িয়া গ্রামের ছাবুল মোল্যার ছেলে। ঠেকাতে আসা ব্যক্তি একই গ্রামের ইসমাইল শেখ (৭২)। তাঁরা এখন নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বেলা দুইটার দিকে সৌদি থেকে সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরেন আজিম। বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যার দিকে পাশের চালিতাতলা বাজারের ইসমাইল শেখের দোকানে বসে ছিলেন। তখন প্রতিপক্ষ চণ্ডীবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও সদস্য মোস্তফা মোল্যার নেতৃত্ব কয়েকজন আজিমের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন বলে অভিযোগ। এ সময় আজিমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বাধা দিতে গেলে ইসমাইল শেখকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আহত আজিম মোল্যা বলেন, ‘এলাকায় হাবিবুরের প্রতিপক্ষ হিসেবে আমি নির্বাচন করতে চাইছি। আমি বিএনপি করি এ জন্য আমারে মারছে। মোস্তফা মেম্বার হুকুম দেছে আর হাবিবুর লোকজন নিয়ে আমারে মারধর করিছে।’
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইউপি সদস্য মোস্তফা মোল্লা বলেন, ‘গতকাল সারা দিন আমি ফেদি বাজারে ছিলাম। রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার পরে আমি সেখান থেকে বাড়ি আসি। পরে খবর শুনি, চালিতাতলা বাজারে কে বা কারা আজিমদের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।’
অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আজিম যে সৌদি থেকে বাড়ি এসেছে, আমি সেটাও জানতাম না।’
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘হোতা’ শাহ পরাণ গ্রেপ্তার
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতন ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাহ পরাণ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পরাণ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর আপন ছোট ভাই। মামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কার্যালয়ের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, শাহ পরাণ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড।
মুরাদনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, শাহ পরাণকে র্যাব হস্তান্তর করেছে। তাকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত ২৬ জুন রাতে উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোক এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।