Prothomalo:
2025-05-18@11:56:41 GMT

অর্থই কি সব অনিষ্টের মূল

Published: 18th, May 2025 GMT

‘অর্থই সব অনিষ্টের মূল’, এই ধারণা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এতটা সরল নয়। আমরা যে অতি বাণিজ্যিকীকৃত পৃথিবীতে বাস করি, তা এমন অনেকের মনে এই ধারণা তৈরি করেছে, যাঁরা বিভিন্ন কারণে সাদামাটা জীবনযাপন ও আধ্যাত্মিক সাধনাকে প্রাধান্য দিতে চান। তাহলে ইসলাম আমাদের টাকা ও সম্পদের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে কী শেখায়? আসুন, দেখা করা যাক।

সম্পদ নিয়ে সংঘাত

অনেক মানুষ সম্পদ নিয়ে মানসিক সংঘাতে ভোগেন। তাঁদের আবেগ ও পূর্বধারণা প্রায়ই এমন একটি ‘সংঘাত’ তৈরি করে, যা তাঁদের বিশ্বাস করায় যে সম্পদ ধর্মীয় পথে বাধা সৃষ্টি করবে। এই ধারণা তাঁদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা অর্জনের পথেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অনেক সময় মানুষ বিভ্রান্ত হয়, যখন তাঁরা দেখে যে কিছু মুসলিম প্রচুর সম্পদের অধিকারী, তবুও তাঁরা ধর্মপ্রাণ। আমাদের সমাজে প্রায়ই ধনী ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকে একসঙ্গে কল্পনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায়ই দুটি চরম দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায়। একদিকে কেউ কেউ দারিদ্র্যকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করেন। তাঁরা ইতিহাসের মহান ব্যক্তিদের উদাহরণ দেন, যাঁরা দারিদ্র্যের মধ্যে থেকেও মহান কাজ করেছেন। অন্যদিকে কিছু মানুষ সম্পদের প্রতি এতটাই মগ্ন যে তাঁরা হালাল–হারামের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেন না। তাঁরা শুধু অর্থের পেছনে ছোটেন, পরকালের কথা ভুলে যান। আজকের সময়ে এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়, যাঁরা সম্পদ অর্জন করে তা বিলাসিতায় ব্যয় করেন এবং সামাজিক মাধ্যমে তা প্রচার করেন। এটি ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ইসলামে সম্পদের দৃষ্টিভঙ্গি

ইসলাম সম্পদের বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা এটি বুঝতে পারি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রিজিকের কথা বারবার উল্লেখ করেছেন, যা আমরা সম্পদ হিসেবেও অনুবাদ করতে পারি। কয়েকটি উদাহরণ দেখা যাক।

আরও পড়ুনসুরা নাজিআতের সারমর্ম০২ মে ২০২৫

ক) সম্পদ ও ইবাদতের সম্পর্ক: একটি আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি জিন ও মানুষকে শুধু আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের কাছ থেকে কোনো রিজিক চাই না এবং আমি চাই না তারা আমাকে খাবার দেবে। নিঃসন্দেহে, আল্লাহ, তিনি রিজিকের প্রদানকারী, স্থির শক্তির অধিকারী।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ৫৬-৫৮)

 এখানে আল্লাহ স্পষ্ট করেছেন যে মানুষ ও জিনের সৃষ্টির উদ্দেশ্য তাঁর ইবাদত। তিনি আমাদের কাছ থেকে কোনো রিজিক চান না; বরং তিনি আমাদের রিজিক প্রদান করেন। এই আয়াত সম্পদ ও ইবাদতের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক নির্দেশ করে।

 আরেকটি আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তোমাদের পরিবারকে নামাজের আদেশ দাও এবং এতে দৃঢ় থাকো। আমি তোমাদের কাছে রিজিক চাই না; আমি তোমাদের জন্য রিজিক প্রদান করি এবং সৎকর্মী ব্যক্তির জন্য সর্বোত্তম পরিণতি আছে।’ (সুরা তাহা, আয়াত: ১৩২)

 এই আয়াত আমাদের শেখায় যে ইবাদতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করি, আর তিনি আমাদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেন।

 খ) সম্পদ আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ: আল্লাহ বিশ্বাসীদের তাঁর প্রদত্ত নিয়ামত উপভোগ করতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রিজিক থেকে খাও এবং পান করো, এবং পৃথিবীতে ফ্যাসাদ (দুর্নীতি) ছড়িয়ে দিয়ো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৬০)। ‘হে বিশ্বাসীরা! যেসব ভালো বস্তু আমরা তোমাদের জন্য দিয়েছি, সেগুলো খাও এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তুমি শুধু তাঁরই ইবাদত করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৭২)

 এই আয়াতে আল্লাহ মুসলিমদের হালাল উপায়ে রিজিক উপভোগ করতে বলেছেন, তবে তা অপব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পদ আল্লাহর একটি নিয়ামত, যা আমাদের উপভোগ করা উচিত, তবে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে ও হালাল উপায়ে।

গ) সম্পদ আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা: আল্লাহ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে সম্পদ শুধু নিয়ামত নয়, পরীক্ষাও। তিনি বলেন, ‘তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের সন্তানেরা কেবল একটি পরীক্ষা এবং আল্লাহর কাছে একটি মহান পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ১৫)

এই আয়াত আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা কীভাবে এই সম্পদ ব্যবহার করি, তা আমাদের ইমান ও আখিরাতের পুরস্কার নির্ধারণ করে।

আরও পড়ুননবীজি (সা.

)–এর দোয়া০১ মে ২০২৫

হাদিসে সম্পদ সম্পর্কে শিক্ষা

মহানবী (সা.) সম্পদের বিষয়ে ব্যাপক দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। একটি হাদিসে আমর ইবনে আল–আস (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘হে আমর, হালাল সম্পদ একজন ন্যায়বান মানুষের জন্য কত সুন্দর!’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১৭, ৮১৪)

কেননা, হালাল সম্পদ একটি নিয়ামত, যা ন্যায়বান ব্যক্তি ভালো কাজে ব্যবহার করেন। যেমন পরিবারের খরচ, মসজিদ নির্মাণ, অনাথদের সাহায্য ইত্যাদি। আরেকটি হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ওপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১, ৪২৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১, ০৩৪)

 এই হাদিস দানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে এবং ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বিরত থাকতে শেখায়। এটি আমাদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার শিক্ষা দেয়, যাতে আমরা অন্যদের সাহায্য করতে পারি।

 আবার নবীজি (সা.) এটাও বলেছেন, ‘একটি সময় আসবে যখন মানুষ তার উপার্জন হালাল, না হারাম তা নিয়ে ভ্রুক্ষেপ করবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২, ০৫৯)

সাহাবিদের জীবন থেকে শিক্ষা

সাহাবিদের জীবন আমাদের সম্পদের প্রতি ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করে।

খাদিজা (রা.) ছিলেন তাঁর সময়ের একজন ধনবান নারী। তিনি তাঁর সম্পদ নবীজি (সা.)–এর জীবনের লক্ষ্য ও মুসলিম জনসাধারণের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। মক্কায় বর্জনের সময় তিনি মুসলিমদের জন্য খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছিলেন।

 উসমান ইবনে আফফান (রা.) তাবুক যুদ্ধের জন্য বিপুল সম্পদ দান করেছেন, যার মধ্যে ছিল ৩০০ উট, ১০০ ঘোড়া ও হাজার হাজার দিনার। মদিনায় দুর্ভিক্ষের সময় তিনি খাদ্যে ভর্তি কাফেলা এনে তা মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।

 আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) মদিনায় গরিব অবস্থায় অভিবাসন করলেও তিনি নিজের পরিশ্রমে সম্পদ অর্জন করেন। তিনি বিপুল অর্থ দান করতেন এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় কাঁদতেন।

 সাহাবিরা সম্পদকে আল্লাহর পথে ব্যয়ের উপকরণ হিসেবে দেখতেন। তাঁরা সম্পদের প্রতি ভয় পেতেন না; বরং হালাল উপায়ে তা অর্জন করে ভালো কাজে ব্যবহার করতেন।

আরও পড়ুনমসজিদে কুবা: ইসলামের প্রথম মসজিদ০১ মে ২০২৫

ইসলামে সম্পদ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির সারকথা

ক) হালাল উপায়ে সম্পদ অর্জন: ইসলাম হালাল উপায়ে সম্পদ অর্জনের প্রতি উৎসাহ দেয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘একবার, যখন (নবী) আইয়ুব গোসল করছিলেন, সোনালি পঙ্গপাল তাঁর ওপর পড়েছিল। তিনি সেগুলো তাঁর কাপড়ে সঞ্চয় করতে শুরু করলেন। তাঁর প্রভু ডাকলেন, “হে আইয়ুব, আমি কি তোমাকে সম্পদ দিইনি?” তিনি উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই, প্রভু, কিন্তু আমি তোমার বরকত থেকে কখনো আত্মনির্ভর হতে পারি না!”’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩, ৩৯১)

এই হাদিস হালাল সম্পদ অর্জনের প্রতি উৎসাহ দেয়, যদি তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়। নবীজি (সা.) আরও বলেছেন, ‘হে মানুষ, আল্লাহ তাআলা পবিত্র এবং তিনি শুধু পবিত্র জিনিস গ্রহণ করেন!’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১, ০১৫)

এখানে ‘পবিত্র’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ‘হালাল’ বা বৈধ উপায়ে উপার্জিত সম্পদ।

 খ) হারাম উপার্জনের পরিণতি: হারাম উপায়ে উপার্জন ব্যক্তির দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতির কারণ হতে পারে। নবীজি (সা.) সতর্ক করেছেন, ‘যে ব্যক্তির খাবার, পোশাক, পানীয় ও প্রয়োজনীয়তা হারাম উপায়ে অর্জিত, সে কীভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের আশা করতে পারে?’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১০১৫)

 হারাম উপার্জন ব্যক্তির ইমান, পারিবারিক সম্পর্ক ও সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি আল্লাহর বরকত থেকে বঞ্চিত করে এবং কিয়ামতের দিনে জবাবদিহিতার কারণ হবে।

সম্পদ আল্লাহর নৈকট্যের অন্তরায় নয়

ইসলাম আমাদের শেখায় যে সম্পদ নিজেই খারাপ নয় এবং দরিদ্র থাকাও ইসলামের লক্ষ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত হালাল উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা আল্লাহর পথে ব্যয় করা। সম্পদকে যে বিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহর নিয়ামত, বহু বর্ণনায় তার উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহর নৈকট্য পাওয়া বান্দাদের রিজিকের অগাধ উৎস থেকে দান করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইসলামে বহু ইবাদতের সঙ্গে সম্পদ ও রিজিককে সম্পৃক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যেমন:

১) আল্লাহর ইবাদত: নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘(আল্লাহ বলেছেন,) যে আমার ইবাদত করে, আমি তার বক্ষ সম্পদে পূর্ণ করব এবং তার দারিদ্র্য দূর করব।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২,৪৬৬)। নামাজ, রোজা, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও সাদাকা আমাদের রিজিক বৃদ্ধি করে।

২) ক্ষমা প্রার্থনা: নুহ (আ.) তাঁর জনগণকে বলেছিলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও... তিনি তোমাদের জন্য সম্পদ ও সন্তান দান করবেন।’ (সূরা নুহ, আয়াত: ১০–১২)

৩) তাকওয়া: আল্লাহ বলেন, ‘যে তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তাকে পথ দেখান এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে রিজিক দান করেন।’ (সুরা তালাক, আয়াত: ২–৩)।

৪) দান: আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা খরচ করবে, আমি তার প্রতিদান দেব।’ (সুরা সাবা, আয়াত: ৩৯)। যাকাত ও সাদাকা রিজিক বৃদ্ধির উৎস।

৫) দোয়া: পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে আল্লাহ, আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দাও।’ (সুরা আল–বাকারা, আয়াত: ২০১)

৬) তাওয়াক্কুল: নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর ওপর সঠিকভাবে ভরসা করলে পাখির মতো রিজিক পাবে। ’(সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৩৪৪)

৭) হজ ও ওমরাহ: নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য ও পাপ দূর করে।’ (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদিস: ২৮৯৬)

৮) আত্মীয়তার সম্পর্ক: নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে, তার রিজিক বৃদ্ধি পায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯৮৬)

৯) বিবাহ: আল্লাহ বলেন, ‘যারা বিবাহ করবে, আল্লাহ তাদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবেন।’ (সূরা আন–নুর, ২৪: ৩২)

১০) কৃতজ্ঞতা: আল্লাহ বলেন, ‘যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, আমি তার নিয়ামত বাড়িয়ে দেব।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৭)

১১) গরিবদের প্রতি দয়া: নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘দুর্বলদের মধ্যে আমাকে খুঁজে নাও, কারণ তোমাদের রিজিক তাদের জন্য।’ (সুনানে আবু দাউদ, ২৫৯৪)

সারকথা

পবিত্র কোরআন, সুন্নাহ ও সাহাবিদের জীবন থেকে আমরা শিখি যে দারিদ্র্য ইসলামের আদর্শ নয়। সম্পদ নিজেই হারাম নয়, যদি তা হালাল উপায়ে অর্জিত হয়। তবে লোভ, কৃপণতা, অহংকার ও অপচয় ইসলামে নিষিদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত হালাল সম্পদ অর্জন এবং তা নিজের, পরিবারের ও সমাজের কল্যাণে ব্যয় করা।

 সাহাবিদের জীবন আমাদের শেখায় যে সম্পদ জান্নাতে পৌঁছায় না বা জাহান্নামে নিয়ে যায় না। এটি আমাদের অন্তর ও সিদ্ধান্তের প্রতিফলন। ফেরাউন ও কারুনের মতো ব্যক্তিরা সম্পদের অপব্যবহার করে ধ্বংস হয়েছিল, কিন্তু খাদিজা ও উসমান (রা.)–এর মতো সাহাবিরা তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি লাভ করেছেন।

 নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি মারা যাবে না, যতক্ষণ না তার রিজিক পূর্ণ হয়। তাই আল্লাহকে ভয় করো এবং সুন্দর উপায়ে রিজিক চাও।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১২, ৮৬৫)

 ‘মুসলিম ম্যাটার্স’ অবলম্বনে

আরও পড়ুনবাঁধভাঙা বন্যার গল্প৩০ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স হ ব দ র জ বন ব যবহ র কর সহ হ ব খ র হ ল ল উপ য ম দ র জন য হ র ম উপ আল ল হ ব ইসল ম র জন র প দ ন কর র জন র বল ছ ন উপ র জ আম দ র কর ছ ন উৎস হ র সময

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে এআই ও ক্লাউড নিয়ে হুয়াওয়ের কর্মশালা

দেশের প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিগরি ও সেবা দক্ষতা বৃদ্ধিতে ‘ক্লাউড টেকওয়েভ বাংলাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে হুয়াওয়ে। ঢাকার  হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে  আয়োজিত এ কর্মশালায় হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের  বিশেষজ্ঞ দল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ক্লাউড প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও বিগ ডেটা বিষয়ক এ কর্মশালা পরিচালনা করেন। এতে দেশের প্রায় ১০০ জন প্রযুক্তি পেশাজীবী অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের সিনিয়র সলিউশন আর্কিটেক্ট নিও জিন শেং ক্যাসন, সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার সান বিং ও ক্লাউড সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার জিয়াং ঝেং প্রমুখ কর্মশালা পরিচালনা করেন।  কর্মশালায় ডেটাবেজ, এআই কন্টেইনার + ল্যান্ডিং-জোন, বিগ ডেটা, সিকিউরিটি, পিএএএস  বিষয়ে আলোচনা করেন।  

 

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড মেম্বার হ্যাভেন লিন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এ যাত্রায় ক্লাউড ও এআই প্রযুক্তির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, ক্লাউড ও এআই খাতের পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের আধুনিকায়নে ভূমিকা রাখবে এ কর্মশালা।

বাংলাদেশে ক্লাউড মার্কেট সময়ের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্লাউড মার্কেট ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এআই এবং ক্লাউড-ভিত্তিক সমাধান সংযুক্ত করার হারও বৃদ্ধি পাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ