এনবিআর ভেঙে ২ বিভাগ করার অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
Published: 18th, May 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে “রাজস্ব নীতি বিভাগ” ও “রাজস্ব প্রশাসন বিভাগ” নামে দুটি পৃথক বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ রিট আবেদনটি করেন।
নিশ্চিত গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই বিষয়টি করেছেন। রিট আবেদনে আইন সচিব ও অর্থ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে অধ্যাদেশটি কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে।
আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, “এনবিআর ছিল একটি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে এর দক্ষতা বাড়ানো যেত। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা মতামত গ্রহণ করা হয়নি। এনবিআরকে বিলুপ্ত করে নতুন দুটি বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্তটি গণতান্ত্রিক ও সংবিধানসম্মত নয়।”
রিট আবেদনে দাবি করা হয়েছে, সংসদীয় প্রক্রিয়া ছাড়াই একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত কেবল অধ্যাদেশের মাধ্যমে কীভাবে কার্যকর হলো এবং সেটি সংবিধান অনুযায়ী কতটা বৈধ। আদালত যদি এ বিষয়ে রুল জারি করেন, তাহলে বিষয়টি বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার আওতায় আসবে এবং নতুন বিভাগগুলোর ভবিষ্যৎ আইনি ভিত্তি নির্ধারণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে “রাজস্ব নীতি বিভাগ” এবং “রাজস্ব প্রশাসন বিভাগ” নামে দুটি আলাদা বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনব আর
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল