ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করা হচ্ছে। 

রবিবার (১৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ঢাবি শিক্ষর্থীরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

এ সময় ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, শাহবাগ থানার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, আমার ভাই কবরে , খুনি কেন বাহির। আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই। শেইম শেইম, শাহবাগ থানা’ এমন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। 

আরো পড়ুন:

সাম্য হত্যায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের সিদ্ধান্ত

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর বিষপান

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর রাইজিংবিডিকে বলেন, “শাহারিয়ার আলম সাম্যের হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থানার সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন। পুলিশ সর্তক অবস্থানে আছে।”

এর আগে গত ১৬ মে সাম্য হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। তবে এই সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত নতুন কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাম্য হত্যার মূল হত্যাকারীকে রাজনৈতিক কারণে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। তাছাড়া পুলিশি পাহারায় তাকে পালাতে সাহায্য  করা হয়েছে। এ ঘটনায় অর্থ লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

গত ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

গত ১৪ মে সকালে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর এই তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৫ মে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য শ হব গ থ ন র স ম য হত য থ ন র স মন অবস থ ন অ য কশন হত য র

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ