জিগাতলায় কলেজছাত্র সামিউর হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
Published: 18th, May 2025 GMT
রাজধানীর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন এলাকায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র সামিউর রহমান হত্যার ঘটনায় রায়হান (১৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাজারীবাগ এলাকা থেকে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগ এলাকা থেকে রায়হান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারে নাম না থাকলেও সিসিটিভি ক্যামেরার (ক্লোজ সার্কিট) ফুটেজ এবং স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত আছে।
১৬ মে সন্ধ্যায় জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন পাতাম রেস্টুরেন্ট এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন সামিউর রহমান (আলভি)। হঠাৎ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত দল এসে রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর শুরু করে। মারধর থেকে বাঁচতে দৌড় দিয়ে রাস্তার অপর পাশের একটা গলির ভেতরে ঢুকে পড়লে সেখানেই তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। আর তাতেই মারা যান সামিউর। তবে তাঁকে কেন এভাবে হত্যা করা হলো, সেটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত তথ্য পায়নি। এ ঘটনায় সামিউরের বাবা মশিউর রহমান খান বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ বলছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সামিউরকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সামিউর রহমান ধানমন্ডির ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, থাকতেন হাজারীবাগ বিডিআর ৫ নম্বর গেটের বাসের আলী আবাসিক এলাকায়। তাঁর বাবা মশিউর রহমান ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। চার ভাইবোনের মধ্যে সামিউর ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট তিন বোন রয়েছে।
আরও পড়ুনসামিউরকে কেন হত্যা করা হলো, নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ১৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
পুত্রবধূকে সিনেট নির্বাচনের প্রার্থী করছেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নির্বাচনে নিজের পুত্রবধূ লারা ট্রাম্পকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী সিনেট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “লারা নর্থ ক্যারোলাইনায় জন্মেছে ও বেড়ে উঠেছে। যদিও এখন সে ফ্লোরিডায় বাস করে, তবে মানসিকভাবে সে সবসময়ই নিজেকে নর্থ ক্যারোলাইনার মনে করে। সে খুব চমৎকার একজন মানুষ, আমি সবসময়েই চাইতাম যে সে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা করুক।”
লারা ট্রাম্প হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় ছেলে এরিক ট্রাম্পের স্ত্রী। পেশাগতভাবে তিনি একজন টেলিভিশন উপস্থাপিকা এবং রাজনীতির মঞ্চেও তার সরব উপস্থিতি রয়েছে। তিনি ফক্স নিউজে ‘মাই ভিউ উইথ লারা ট্রাম্প’ নামে একটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে গঠিত রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কো-চেয়ার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জাপানকে ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
মঙ্গলবার ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর সংস্কার ও অভিবাসন সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছে সিনেটে। সেই বিলে ধনীদের জন্য কর ছাড় এবং দরিদ্রদের স্বাস্থ্যবিমার বিপুল অর্থ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প। সিনেটে ভোটাভুটির জন্য বিলটি যখন উত্থাপন করা হয়েছিল, সে সময় নর্থ ক্যারোলাইনার সিনেটর থম টিলিস বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় টিলিসের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তাই আসন্ন সিনেট নির্বাচনে টিলিসকে মনোনয়ন না দিয়ে নর্থ ক্যারোলাইনার ওই আসনে নিজের পুত্রবধুকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০টি, আর কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মোট আসনসংখ্যা ১০০টি। বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের কোনোটি রিপাবলিকান আবার কোনোটি ডেমোক্রেটিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এর বাইরে অল্প কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নর্থ ক্যারোলাইনা সেই সব অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ঢাকা/ফিরোজ