গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঈদে ছুটি বৃদ্ধি ও কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ব মৌচাক এলাকায় শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মালিকপক্ষ কারখানা দুই দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব মৌচাক এলাকার ‘জালো নিটিং লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকেরা ঈদের ছুটি ১২ দিন করা ও কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল রোববার থেকে আন্দোলন শুরু করেন। ওই দিন কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করে তাঁরা ফিরে যান।

আজ সোমবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকেরা দেখতে পান কারখানার গেটে একটি নোটিশ টাঙানো রয়েছে। সেখানে লেখা, ‘জালো নিটিং লিমিটেডের সব শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ১৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই দিন সবেতন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। ২১ মে থেকে কারখানার কার্যক্রম যথারীতি চলবে।’

এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকেরা সকাল ৮টা থেকে মৌচাক-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে শিল্প পুলিশ, থানা-পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এরপরও শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল আবার শুরু হয়।

মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবদুস সেলিম বলেন, শ্রমিকেরা ছুটি বাড়ানো ও কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত র সড়ক অবর ধ কর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘হোতা’ শাহ পরাণ গ্রেপ্তার

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতন ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাহ পরাণ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পরাণ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর আপন ছোট ভাই। মামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। 

র‍্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কার্যালয়ের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, শাহ পরাণ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড।

মুরাদনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, শাহ পরাণকে র‍্যাব হস্তান্তর করেছে। তাকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত ২৬ জুন রাতে উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোক এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী  মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ